দীর্ঘ জটিলতার পর উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠিকানা বরাবর শোকজ চিঠি পাঠানো শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার পাঁচ বিভাগে শতাধিক নেতার স্থায়ী ঠিকানা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সরকারি বন্ধ থাকায় আগামীকাল বাকি তিন বিভাগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠিকানায় শোকজ চিঠি পাঠানো হবে। তবে শোকজ তালিকায় আপাতত নৌকাবিরোধী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদদাতা মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের নাম নেই। পরে তাদের নামেও শোকজ চিঠি পাঠানো হবে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ যুগান্তরকে বলেন, ‘আজ (সোমবার) সারা দিন এসব চিঠি পাঠানো হয়েছে। আপাতত আমরা ৫ বিভাগে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে শোকজ চিঠি পাঠিয়েছি। মঙ্গলবার না হলে বুধবার বাকি বিভাগগুলোতেও চিঠি পাঠানো হবে।’
সূত্র জানায়, সোমবার শোকজ চিঠি ইস্যু করা পাঁচ বিভাগ হল- রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট। তবে এই শোকজের তালিকায় মদদদাতাদের নাম নেই। মদদদাতা ছাড়াই শতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ১৫ দিনের সময় দিয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। ‘কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’- তা জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। জবাব সন্তোষজনক না হলে দলীয় পদসহ স্থায়ী বহিষ্কার হবেন অভিযুক্ত নেতারা।
১২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন- গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার ও শোকজের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে যেসব মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতা কাজ করেছেন, তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। শোকজের জবাব যথার্থ না হলে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের কথা উঠে আসে সে আলোচনায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ ও জুনে পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আট বিভাগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক। এর বাইরে দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল শতাধিক। আর মদদদাতা মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী শতাধিক নেতার নাম ওঠে আসে আলোচনায়।