নাসার আর্টেমিস-টু মিশন ২০২৪ সালে চাঁদে চারজন নভোচারীকে নিয়ে যাবে। তারা চাঁদে হাঁটবেন। দীর্ঘ ৫০ বছর পর চাঁদে মানব সঞ্চালন করতে যাচ্ছে নাসা। সোমবার (৩ এপ্রিল) মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) চারজন নভোচারীর নাম ঘোষণা করেছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কমান্ডার রিড ওয়াইজম্যান, পাইলট ভিক্টর গ্লোভার, মিশন বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিয়ানা কোচ ও জেরেমি হ্যানসন ৫০ বছর পর চাঁদে মনুষ্যবাহী মিশনের সদস্য হবেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের পর চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী প্রথম মানুষ হবেন তারা।
জানা গেছে, এই চার নভোচারীর মধ্যে তিনজন আমেরিকান এবং একজন কানাডিয়ান। এই চার নভোচারী চাঁদে আর্টেমিস-টু মিশনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এরপর আর্টেমিস থ্রি মিশনে চাঁদে অবতরণ করবেন নভোচারীরা। মিশনটি আগামী বছর চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে এই প্রথম নয় যে মানুষ চাঁদে গেছে। এর আগে, ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল নাসা। নিল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ যিনি চাঁদে পা রাখেন। এরপর থেকে নাসার নভোচারীরা বেশ কয়েকটি মিশনে চাঁদে হেঁটেছেন। চাঁদে হাঁটা শেষ মানুষ সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়।
নাসা আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপোলো মিশন শেষ করার আগে ইউজিন সারনান চাঁদে পা রেখেছিলেন। নভোচারী ইউজিন সারনান ১৯৭২ সালে চাঁদে হাঁটা শেষ মানুষ ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ছিলেন। সারনান ১৯৭২ সালে সপ্তম অ্যাপোলো-১৭ মিশনে চাঁদে ভ্রমণ করেছিলেন।
যা ছিল ষষ্ঠ ও শেষ অ্যাপোলো চাঁদে অবতরণ মিশন। সারনান ছিলেন অ্যাপোলো-১৭ মিশনের কমান্ডার। তিনি পাইলট রোনাল্ড ই ইভান্স ও লুনার মডিউল পাইলট হ্যারিসন এইচ জ্যাক স্মিথের সঙ্গে চাঁদের টরস-লাইট্রো উচ্চভূমি ও উপত্যকায় অবতরণ করেছিলেন।
২০২৪ সালের মধ্যে এই চার নভোচারী আবার চাঁদে হাঁটবেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।