কথা রাখলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের গরমে দূর্বিসহ দূর্ভোগের চিত্র দেখে,তাদের কষ্ট উপলব্ধি করে নিজেকে অপরাধী মনে করেছিলেন তিনি। ঘোষণা দিয়েছিলেন হাসপাতালে এসির ব্যবস্থা না করে নিজের রুমের এসি ব্যবহার করবেন না।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তালা উপজেলার এ ইউএনও নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এই রুমের মধ্যে থাকতে ভালো লাগছে না। হাসপাতালে অপারেশনের রোগী গরমের সঙ্গে লড়ছে। রাতের তালা আমাকে বদলে দাও। কাল থেকে আমার এসি রুম বন্ধ থাকবে। রোগীদের এসির ব্যবস্থা না করে এই এসি রুম ব্যবহার করব না। দয়া করে রুমে ঢুকে কেউ এসি চালাতে বলবেন না। হাসপাতালে এসির ব্যবস্থা হবে। কোনো ময়লা থাকবে না। জুতা বাইরে থাকবে। আর বাথরুম থেকে গন্ধ নয়, ঘ্রাণ আসবে।’
অবশেষে তার ঐকান্তিক চেষ্টায় তালা হাসপাতালে রোগীদের জন্য এসির ব্যবস্থা হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে খুলনা থেকে তালায় আনা হয় সিঙ্গার কোম্পানীর ১২ টি এসি। এ সময় তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ,তালা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জীব সরদার, সিঙ্গার কোম্পানীর সেল্স ম্যানেজার কাজী হেদায়েতুল্লাহসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সকাল থেকেই এসিগুলো হাসপাতালে লাগানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ বলেন, প্রাথমিকভাবে দুটি ওয়ার্ডে ১২টি এসির জন্য চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেনের উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত হয়েছে।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করাকে উপভোগ করি। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অসুস্থ অপারেশনের রোগীদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয় ছিল। রোগীদের সে কষ্ট লাঘব না করে নিজে আয়েশ করব না বলে ঘোষণা দিয়েছিলাম। অবশেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের চেষ্টায় ১২টি এসির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।’