আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা শহরে হরতালের কোনো চিহ্ন নেই। চলছে যানজট। বাস্তবতা বুঝে এ হরতালে জনগণের সাড়া নেই। হরতাল এখন গণআন্দোলনের অস্ত্র নয়, এটা মরিচা ধরে গেছে।
রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে দলের যারা নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতা করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে সেসব বিষয় দলের কার্যনির্বাহী কসিটির সভায় আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, নৌকা মার্কার বিরোধিতা করে যারা বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে। কোনো এমপি বা মন্ত্রী যদি দোষী হয় পরবর্তীতে তাকে আর মন্ত্রী করা হবে না বা এমপির টিকিট দেয়া হবে না, এটা কি তার জন্য শাস্তি নয়? শুধু দল থেকে বহিষ্কার করলেই কি শাস্তি হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।