পশ্চিমবঙ্গের মডেল ও অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। সবকিছু খতিয়ে দেখছে স্থানীয় নাগেরবাজার থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর আগেও দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বিদিশা দে মজুমদার। কিন্তু বান্ধবী এবং সহকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে তিনি আর সেই কাজ করেননি। বুধবার ভোর রাত পর্যন্তও বিদিশাকে বোঝানোর চেষ্টা করে তার এক বান্ধবী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
মডেলের বান্ধবীরা অনুভব বেরা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও নাগেরবাজার থানায় বিদিশার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগে অনুভবের নাম উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিদিশার ময়নাতদন্ত হবে স্থানীয় কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সন্ধ্যায় নাগেরবাজার থানায় ফোন করেন বিদিশার এক বান্ধবী। এরপর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ওই মডেলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুইসাইড নোটে অবশ্য নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি তিনি। ডায়েরির তিন পাতাজুড়ে ছিল সুইসাইড নোট।
যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তার মালিকের আত্মীয়ের দাবি নোটের প্রথম পাতায় লেখা ছিল, “আমি ক্যান্সার আক্রান্ত।” এছাড়াও উল্লেখ রয়েছে ক্যারিয়ারজনিত হতাশার কথাও। যদিও হাতের লেখা এবং ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কথা সঠিক কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি।
বান্ধবীদের দাবি, গত চার মাস ধরে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা অনুভব বেড়া নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিদিশার। কিন্তু ওই যুবকের সঙ্গে আরও অনেক মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সেকারণেই মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন বিদিশা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সূত্র: জিনিউজ