বদলগাছী(নওগাঁ)প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর উজান থেকে জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী হাজী মোয়াজ্জেম নামের এক ব্যক্তি।
অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ইজারাদার আশিক চৌধুরী শাহিন।
এতে করে এক দিকে সরকার হারাচ্ছে যেমন রাজস্ব। অপরদিকে প্রকৃত ইজারাদার হচ্ছেন খতিগ্রস্ত। যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হয় তাহলে তার ইজারাকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যও জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৪২৯ সনের আত্রাই নদীর ভাটি অংশের বালুমহালটি ৭১,৯০,৫০০ (আয়কর ও ভ্যাটসহ ৮৯,৮৮,১২৫) টাকায় ইজারা গ্রহণ করেন, বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ এর পূত্র আশিক চৌধুরী শাহিন। নদীর উজান অংশ নদী খননের কারনে ১৪২৯ সনের জন্য বালুমহালটির ডাক বন্ধ রয়েছে। কিন্তু পূর্বের ইজারা গ্রহীতা মেসার্স হ্যাপি ট্রেডার্স এর প্রোঃ মহাদেবপুর সদরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হাজী ও বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ইজারাবর্হিভুত জায়গা মহিষবাথান থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে করে কম দামে বিক্রয় করছেন। ফলে ইজারাগ্রহীতার বালু বিক্রয় বন্ধ হয়ে লোকশানের মুখে পড়েছে।
এবিষয়ে প্রকৃত ইজারাদার গত ৮ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ইজারাবর্হিভুত জায়গা থেকে মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে দিন ও রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তার ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে বালু বিক্রয় বন্ধ হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে তার ইজারার টাকা উঠবে না। কাজেই ইজারাবর্হিভুত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার আবেদন করেছেন। যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হয় তাহলে তার ইজারাকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।
এব্যাপারে পূর্বের ইজারা গ্রহীতা মেসার্স হ্যাপি ট্রেডার্স এর প্রোপ্রাইটর মোয়াজ্জেম হাজী বলেন, আমি দীর্ঘ দিনের একজন বালু ব্যবসায়ী আমি কোন সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করিনি। আমি মহাদেবপুরে থাকি আত্রাই নদীর বালু মহাল ছিলো একটি কিন্তু গত বছর থেকে জেলা প্রশাসক মহাদেবপুর দুইটি ভাগে ভাগ করেছে। একটি ভাটা অংশ এবং অপর দিকে উজান অংশ।
তিনি মহাদেবপুর উজানের অংশ পানি উন্নয়ন বর্ডের খনন কাজের জন্য ইজারা বন্ধ রয়েছে শিকার করেন। পরে তিনি বলেন , আমি মহিষবাতান বালু মহালের পয়েন্ট থেকে আমার সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে এসেছি। আগের যে বালু উঠানো ছিল সেগুলো কম দামে বিক্রয় করছি।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য জরুরী ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।