সদরপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালীতে বাছার ডাঙ্গী গ্রামের রাজন বাছারের বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে রাবেয়া বেগম রঙ্গ (৩৩) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে সদরপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে রঙ্গর লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাবেয়া বেগম রঙ্গ (৩৩) উপজেলার ঢেউখালি ইউনিয়নের পিয়াজখালি বাছার ডাঙ্গী গ্রামের মৃত রাজন বাছারের বড় মেয়ে। তার স্বামী পার্শবর্তী শিবচর থানার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজার চর গ্রামের আব্দুল মান্নান বেপারীর পুত্র হাবলু বেপারী (৪৫)।
জানা যায়, শিবচর থানার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের হাবলু বেপারীর সাথে পারিবারিকভাবে বিগত ৮-৯ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের কিছু দিন পর থেকেই রাবেয়া স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করতো। স্বামী হাবলু বেপারী স্থানীয় পিয়াজখালী বাজারে ফার্নিচারে দোকানে কাজ করতো ও রাবেয়া সদরপুরের নয়রশি এলাকায় এ.কে.কে নামক একটি এনজিওতে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করত। তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং রাবেয়ার আগের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১১ আগষ্ট হতে রাবেয়া নিখোঁজ হয় ও ১২ আগষ্ট দুপুরে রাবেয়ার স্বামী হাবলু বেপারী ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যায় বলে রাবেয়ার মা জানায়। রাবেয়া নিখোঁজ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করার পর আজ ১৩ আগষ্ট দুপুরে রাবেয়ার মা বাড়িতে তাদের গোয়াল ঘরের পেছনে গেলে বাথরুমের সেফটি ট্যাংকির মধ্যে রাবেয়ার দুই পা দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। তার আত্ম চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে। পরবর্তিতে সদরপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে রাবেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
এর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্বামী হাবুল বেপারী পালাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাঙ্গা সার্কেল তালাত মাহমুদ শাহানশাহ।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন আল রশিদ জানান- আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।