সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সদরপুরে গত (১৭ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় রফিকুল ইসলাম ঢাকা অবস্থান করার পরেও তাকে মিথ্যে হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।
ফরিদপুরের সদরপুরে কৃষ্টপুর ইউনিয়নের হাটকৃষ্ণপুর বাজারে গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থক গিয়াস তালুকদার নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে বর্তমান চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তিতাসের সমর্থকরা পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার শারিরীক অবস্থায় অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত গিয়াস উদ্দিন তালুকদার একই ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ি গ্রামের নয়ন তালুকদারের পুত্র।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিকেলে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন।
পরে গত (১৭ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পযর্ন্ত সদরপুর উপজেলার যাত্রাবাড়ী এালাকায় কৃষ্টপুর ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয় । এ সময় সংঘর্ষে জালাল ফকির নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। পরবতিতে নিহত জালালের ফকিরের ভাই দেলোয়ার ফকির বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু ঘটনা স্থলে উপস্থিত না থেকেও বর্তমান চেয়ারম্যান তিতাসের নিদেশে মামলার ৩৯ নং আসামী করা হয় রফিকুল ইসলামকে । যিনি ঐসময়ে ঢাকার কদমতলী সাদ্দাম মার্কেট এলাকার এন, আর, বি, সি, কমার্শিয়াল ব্যাংকে লেনদেন অবস্থায় ছিলেন। যা ব্যাংকের সিসি টিভি ফুটেজে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
অথচ ঘটনার দিন রফিকুল ইসলামের ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকার বিষয়টা সদরপুর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত অফিসার কৃষ্ণ বিশ্বাসকে জানানো হলেও এই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পায়নি।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম দৈনিক বর্তমান দেশবাংলাকে বলেন, আমি ঘটনার দিন ঢাকার কদমতলী সাদ্দাম মার্কেট এলাকার এন আর বি সি কমার্শিয়াল ব্য্রংকে লেনদেন অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আমাকে বর্তমান চেয়ারম্যান তিতাসের নির্দেশে জালাল হত্যা মামলার মিথ্যা আসামি করা হয়েছে । আমি প্রশাসনের নিকট এই হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার সুষ্ট তদন্ত দাবি করছি। সেই সাথে আমাকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।