শাল্লা( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের শাল্লায় ভূমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মহিলা সহ একই পরিবারের ৮ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে উপজেলার শাল্লা ইউনিয়নের চব্বিশা গ্রামে সাংবাদিক দিলুয়ার হোসেনের বসতবাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন, মোঃ ছাদির মিয়া (৬৭) মোঃ আব্দুল কাদির (৫৫) মেঃ কায়ুম মিয়া (৪৫,) নাজমুল মিয়া(৩৮), মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৪) জুলহাস মিয়া(২২), রুনা আক্তার (৩৬), পারুল আক্তার (৫০),
গুরুত্বর আহত ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্ব্যস্হ্য কমপ্লেক্সসে ভর্তি করা হয়। অন্য ২ জনকে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আহত আব্দুল কাইয়ুম মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে শাল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন একই গ্রামের কাউছার মিয়া (৩৬) , রফিক মিয়া (৫২) , এমদাদুল মিয়া (৪১), আব্দুর রউফ (৪২) , আলাল মিয়া (৪৮), সাদিকুর মিয়া (৪০), হারুন মিয়া (৪৫), শরিফ মিয়া (৪৬) ,তুষাদ মিয়া (২৪) ,জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৮)। শাল্লা থানার মামলা নং ০১/৫৯, তারিখ ৩/০৯/২৩ইং।
জানাযায়,আহত সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন ও দৈনিক বিজয়ের কন্ঠ পত্রিকার শাল্লা উপজেলা প্রতিনিধি এবং শাল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি।
মো দিলুয়ার হোসেন জানান, ঘটনার সময় আমি আমার ভাই ছিলাম না, এর পরে ও আমি সহ আমার ভাই কে পুলিশ আসামি করেছে । আমার বাড়িতে যখন কাওচার গংরা হামলা করে তখন বিষয়টি আমি ইউনো মহোদয় কে ফোন করে হামলার ঘটনাটি অবগত করলে তিনি বলেন আমি পুলিশ কে যাওয়ার জন্য বলেছি । দিলুয়ার আর ও জানান হামলাকারী কাউসার মিয়া সরকারি চলাচলের রাস্তায় বিল্ডিং নিমার্ণ করায় বাদী
পারুল আক্তার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার মিয়াকে ফোন দিয়ে নিমার্ণ কাজ বন্ধ রাখতে নিষেধ করেন। কিন্তু সে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে রাতারাতি বেশি লোকজন নিয়ে নির্মাণ কাজ সমপন্ন করে ফেলেন। এ বিষয়ে শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে কাউসার মিয়াকে নিষেধ করার পরও সে শাল্লা থানার অপশক্তি প্রয়োগ করে নিমাণ কাজ সমপন্ন করেছে।
বিবাদী কাউসার মিয়ার মোবাইল ফোন বার বার কল করে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
৪ নং শাল্লা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য সিরাজ মিয়া বলেন, ভূমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে দিলুয়ারের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের বিরুদ নিষ্পত্তি করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ভূমি পরিমাপ করার জন্য তারিখ করেছিলাম। কিন্তু তারিখের আগেই দিলুয়ারের বাড়িতে হামলা ঘটনা ঘটেছে।
মামলার বাদী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আসামি আব্দুর রউফ আমাদের রেকর্ডীয় এবং সরকারি রাস্তার উপর অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করায় আমার বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে এবং পরিবারের লোকদের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে সাংবাদিক দিলুয়ার হোসেনের বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা শুনে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের গ্রেফতারি অভিযান অব্যাহত আছে।
শাল্লা উপজেলা নিবাহী অফিসার আবু তালেব বলেন, সাংবাদিক দিলুয়ার হোসেনের বসত বাড়িতে হামলার ঘটনা জেনে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।