স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষীপুর জেলার লক্ষীপুর মডেল থানাধীন ১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড নিবাসী মোঃ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রুনা আক্তার আরিফ গ্যাং দারা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের শিকার সংবাদ প্রকাশের জন্য আবেদন করলে, তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক গিয়ে জানতে পারে , ১০ ফেবুয়ারি আনুমানিক সকাল ১০টায় রুনা আক্তারের বাড়িতে আরিফ গ্যাংয়ের ১৫-২০ জনের মত এরা রুনা আক্তার কে মিথ্যা অপবাদ দিতে থাকে, এক পর্যায়ে রুনা আক্তার এবং তার পরিবারের সবাইকে ধরে রাস্তায় এনে মারধর করে।
রুনা আক্তার বলেন, আমাকে গাছের সাথে বেঁধে গায়ের কাপড় চোপড় ছিড়ে মোবাইলে অশ্লীল ছবি তুলে আরিফ গ্যাং এর লোকেরা, এবং সাথে থাকা নগত অর্থ, মোবাইল,গলার স্বর্নের চেন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে আমার সম্পতি জোরদখল করে খাচ্ছে উনারা। আমাকে মেরে আমার সম্পতি নিয়ে যাওয়ার জন্য এই হামলা চালিয়েছে।
রুনা আক্তার এর মেয়ে বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার সময় নানা রকম খারাপ কথা বলে বিরক্ত করে।
স্থানীয় বাসিন্দা নূর হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে মারধর সহ আমার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে আরিফ গ্যাং, এ বিষয়ে একটি মামলা থানায় তদন্তধীন অবস্থায় আছে। আরও একজন ভুক্তভোগী নাজিম বলেন, আমিও নির্যাতনের শিকার হয়েছি , এছাড়াও আরও জানা যায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ির ইউসুফ এর ঘর থেকে টিভি খুলে নিয়ে যায় আরিফ গ্যাংয়ের লোকেরা।
আরিফের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক । আরও বলেন ঘটনার আগে চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইলে কথা বলে আমি রুনাদের বাড়ি যাই। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কামাল মাঝি রুনাকে হেও প্রতিপূর্ন কথাবার্তা বলেন।
এ ঘটনার বিষয়ে ১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউ পি চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন বলেন, আরিফ নামে কাউকে আমি চিনিনা। কিন্তু ঘটনা স্থল থেকে আমার কাছে ফোন আসে এবং আমি ঘটনা স্থলে গ্রাম পুলিশ নিয়ে পৌছাই ও থানার থেকে পুলিশ এসে রুনা এবং তার স্বামীকে উদ্বার করে নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান আরো বলেন আরিফের বিরুধে আরো একটি মারামারির ঘটনা জানতে পারি। তা ছাড়াও আরিফ ও রুনাদের জমিজোমার বিষয়ে বছর খানিক আগে একটা গ্রাম্য সালিশও করি।
এই বিষয়ে রুনা বাদী হয়ে লক্ষীপুর থানায় একটা মামলা দায়ের করেন । যার নং ৩২জিআর ৭২/২০২২।
ডি/বি/দেশবাংলা/নিউজ