ডেস্ক রিপোর্ট: রোজা মানেই বেগুনের দামে লাফ। তবে এবার প্রথম রোজায় আগের দিনের তুলনায় দামে তেমন পার্থক্য দেখা না গেলেও দ্বিতীয় দিনেই দেখা গেছে বেগুনের ‘তেজ’।
প্রথম রোজায় নগরীতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেলেও এক দিনের ব্যবধানে শনিবার সকালে এই দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা।
এক রাতের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা টাকা দাম বাড়ার খবরে অবাক ক্রেতা রাকিব। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট বাজারে বেগুন কিনতে আসা এই ক্রেতা বলেন, ‘কাল কিনলাম সত্তর টাকায়। আজ ১০০ টাকা। এটা কীভাবে সম্ভব? এখন তো মনে হচ্ছে ভুল করেছি। কাল বেশি করে কিনে রাখা উচিত ছিল।’
ইফতার উপকরণে বেগুনি যখন প্রায় অবশ্যম্ভাবী উপকরণ, তখন এই সময় বেগুনের চাহিদা বাড়ে অস্বাভাবিক। আর সেই সঙ্গে বাড়ে দাম।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারিতে দাম বাড়ায় তাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম।
আরেক ক্রেতা নিজামউদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন মুসলিম দেশে ১১ মাস দাম বেশি নেয়া হলেও, বিশেষ ছাড় থাকে রোজার মাসে। এক মাত্র আমরাই উল্টো। এখানে ব্যবসায়ীরা ব্যবসাই বোধ করে এক মাস। একেবারে গলা কাঁটা দাম।’
বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে তাদের কিছু করার নেই। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা রাহাত ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘ভাই, লুকানের কিছু নাই। বেগুন পাল্লা কেনা পরছে সাড়ে চারশ টাকা। বিক্রি করুম কত? দশ টাকা লাভ তো রাখাই লাগবে। শশা কেনা সাড়ে তিনশ টাকার মত।’
বেগুনের পাশাপাশি এক দিনের ব্যবধানে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে শশার দামও। আগের দিন ৫০ থেকে ৭০ টাকায় সালাদের উপকরণটি পাওয়া গেলেও আজ ৮০ টাকার কমে মিলছে না পণ্যটি। আরও দাম বাড়ার ইঙ্গিত আছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে দাম আরো একটু বেশি। গতকাল সকালে ৬০ টাকায় পাওয়া গেছে বেগুন। আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায় দরে। শশা ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
অবশ্য গতকাল বিকালেই এই বাজারে বেগুন-শশার দাম বেড়ে যায়।
ক্রেতাদেরদের একজন মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘সারা বছর এখানে বাজার করি। এরাই বলে এরা সবজি আনে সকালে। দাম বাড়লে বাড়ার কথা ছিল গতকাল সকালে। কিন্তু কাল বিকেলে দাম বাড়লো কীভাবে?’
এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সবজি দোকানের কর্মচারী ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘মালিক গো সমিতি আছে। দাম বাড়া-কমা হেরাই ঠিক করে। কাইল দুপুরের পরই সবাই যুক্তি কইরা দাম বাড়াইছে।’
‘এখানে নিয়ম আছে। সমিতি যা কইব, সবাইর ওই দামেই বেচতে হইব। বেশিতে বেচতে পারব, এইডা হ্যার ব্যাপার, কমে বেচতে দিব না।’