রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের রুটিন কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায়। কারণ তাদের খাবারের প্রতি সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হয় সময়ের দিকেও। অনেকের আবার ডায়াবেটিসের জন্য ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। তাই রোজায় কী করতে হবে, কী করা যাবে না তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেক ডায়াবেটিস রোগী।
আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন বা আপনার বাড়িতে কোনো ডায়াবেটিস রোগী থাকলে তার প্রতি এই রমজানে আপনাদের রাখতে হবে বাড়তি খেয়াল। রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা বিশেষভাবে জরুরি। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন সেন্টার ফর সাইকোট্রমাটোলজি এন্ড রিসার্চ এর পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা রিফাত আল মাজিদ-
রোজার আগে এবং পরে একজন ডায়াবেটিস রোগীর মোট ক্যালোরি গ্রহণ প্রায় একই থাকবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করে নিতে হবে। ইফতারে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ঠিক না। এতে করে ইফতারের পরে সুগার বেড়ে যেতে পারে। নিয়মের মধ্যে ইফতার যত দ্রুত সম্ভব এবং সাহরি যত দেরিতে সম্ভব খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ইফতার থেকে সেহরির মধ্যে প্রচুর পানি পান করতে হবে যা পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করবে। রাতের খাবার এবং সাহরি বাদ দেওয়া যাবে না। ইফতারের পর ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করা উচিত। অথবা খুবই সামান্য যেমন ১-২টি বেগুনি, ১-২টি আলু চপ, ১-২ টুকরা পিঁয়াজু, অল্প একটু ছোলা ভুনা খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই সেগুলো বাসায় তৈরি হতে হবে।
ইফতারে একটি বড় খেজুর অথবা দুটি ছোট খেজুর, মিষ্টি জাতীয় ফল যেমন তরমুজ ছোট এক দুই টুকরা খাওয়া যাবে। মিষ্টি নয় অথবা টক জাতীয় ফল ইফতারের পর খেতে পারবেন। এগুলো বেশি খেলেও সমস্যা নেই। ফলের শরবত খাওয়া যাবে তবে সেখানে কোনো চিনি যোগ করা যাবে না। অল্প ভাত এবং সাহরিতে শাক-সবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। ডাবের পানি খেতে পারবেন। চা, কফি জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে।
সর্বোপরি ডায়েট ও ওষুধের নিয়ম ঠিক করার জন্য রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় রোগী গুরুতর শারীরিক জটিলতার মধ্যে পড়ে যেতে পারে। এর বাইরে কখনো কোন অসুবিধা হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।