রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশার অবসান হতে চলেছে। আগামী মার্চে সমাবর্তন হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ উপলক্ষে আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাদ পড়া গ্র্যাজুয়েটদের অংশগ্রহণের জন্য নতুন করে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শীতকালীন ছুটির মধ্যেই সমাবর্তন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে একটি কমিটি কাজ করেছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই সমাবর্তনের নিবন্ধনের জন্য নতুন করে দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগের নিবন্ধনকৃত গ্র্যাজুয়েটদের আর নতুন করে কিছু করতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি সমাবর্তনে অংশগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করলেই সেই অনুযায়ী সমাবর্তন বক্তা নির্ধারণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমরা আশা করছি মার্চ মাসেই সমাবর্তন আয়োজন করতে পারবো।’
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ২০০৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৭১ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। আর দশম সমাবর্তনের জন্য ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার জানিয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে সমাবর্তন আয়োজনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিন। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রক্রিয়া চলে। ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের সময় না থাকা, সমাবর্তন বক্তা ও প্রশাসনিক জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় সমাবর্তন। পরবর্তীতে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তা হবার একটি জোরালো সম্ভাবনা থাকলেও তা আর হয়নি। এরপর মার্চ মাসে অধ্যাপক মিজানউদ্দিন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হলে মে মাসে নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। প্রশাসনিক পট পরিবর্তনের কারণে সৃষ্টি হয় সমাবর্তন নিয়ে ধোঁয়াশা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রি অর্জনকারীরা পুনরায় ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (ru.ac.bd) পাওয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আগামী মার্চে রাষ্ট্রপতির সময় চেয়েছি। আশা করছি দ্রুতই তারিখ নিশ্চিত হবে। ইতোমধ্যে গত প্রশাসনের গঠিত কমিটি কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা দ্রুতই এ বিষয়ে সভা করে পরবর্তী বিষয় জানাবেন।