ইসলাম ডেস্ক: প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিন শ্রেণির মানুষের ওপর আল্লাহর জান্নাত হারাম অর্থাৎ এই তিন শ্রেণির মানুষ কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
অথচ প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন কাজ করেছেন। আল্লাহর কাছে কেঁদেছেন। মানুষের কল্যাণে দোয়া করেছেন।
তিনি তাঁর উম্মতের প্রতি গুরুত্বসহকারে এ তিন কাজ থেকে বিরত থাকতেই সতর্কতা জারি করেছেন। জানিয়েছেন তারা কখনো জান্নাতের স্বাদ পাবে না। এ তিন শ্রেণির লোক হলো-
দাইয়্যুস,
দাইয়্যুস হলো ওই ব্যক্তি; যে তার পরিবারে পর্দা প্রথা চালু করেনি। পরিবারের লোকজন বেপর্দায় চলাফেরা করতো; বেহায়াপনায় লিপ্ত ছিল; কিন্ত সে তার কোনো প্রতিরোধ করেনি বা বাধা প্রদান করেনি। পরিবারের কর্তা হিসেবে বেপর্দা-বেহায়াপনা বন্ধ না করার জন্য এই শাস্তি পাবে সে।
তিনি যত বড় ইবাদতকারী আর তাহাজ্জুদ গুজার ব্যক্তিই হোন না কেন, যত দান-সাদকাই করুন না কেন, তিনি যদি পরিবারের কর্তা ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন না করেন, তবে তার জন্যও জান্নাত হারাম।
সুতরাং পরিবারের কর্তা ব্যক্তির উচিৎ পরিবারে পর্দার বাস্তবায়ন করা। এ কারণেই যে বেপর্দায় চলে সে-ও দাইয়্যুস। আর যে সামর্থ ও দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও পর্দার ব্যবস্থা করেনি সে-ও দাইয়্যুস। হোক সে পুরুষ অথবা নারী।
অবাধ্য সন্তান,
যারা পিতা-মাতার অবাধ্য। তারাও এই তিন শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত। পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তানও জান্নাতে যাবে না। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী যার ওপর পিতা-মাতা অসন্তুষ্ট তার জন্য জান্নাত হারাম।
তাই সন্তানের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত পিতা-মাতার খেদমত করতেই হবে। পিতা-মাতাকে কোনোভাবেই কষ্ট বা পরিত্যাগ করা যাবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিস্কারভাবে বলেছেন, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পিতা-মাতার অনুগত ও বাধ্য সন্তান হিসেবে কবুল করুন।
নেশাকারী,
যারা নেশাগ্রস্ত এবং মাদক-দ্রব্য পান বা গ্রহণ করে তারাও এ তিন শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত। ইসলামে নেশাকে হারাম করা হয়েছে। এটা কোরআনের নির্দেশ।
তাই সব ধরনের নেশা বর্জন করা জরুরি। কারণ নেশা বা মাদক গ্রহণ করলে দেহ অপবিত্র হয়ে যায় আর এই অপবিত্র দেহ কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব জ্ঞানবান কিশোর যুবক, বয়স্ক নারী-পুরুষকে উল্লেখিত নিষিদ্ধ তিন কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।
মাদক তথা নেশামুক্ত পরিবার ও সমাজ গঠন, পিতা-মাতার যথাযথ খেদমতসহ পরিবার-পরিজনকে বেপর্দার অভিশাপ থেকে হেফাজত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।