জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন। তবে ন্যায়বিচার হলে বেকসুর খালাস পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
আজ বুধবার বিকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা করে দুদক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কথার লড়াই শুরু হয় সেদিন থেকেই। খালেদা জিয়ার সাজা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিএনপি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন।
মামলার তারিখ ধার্য করার পর খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে ২৭ জানুয়ারি স্থায়ী কমিটি, ২৮ জানুয়ারি ২০ দল, ৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী কমিটি, ৪ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বসেছেন। ৫ ফেব্রুয়ারি গেছেন সিলেট সফরে। সবশেষ আজ আসছেন সংবাদ সম্মেলন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাকচ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, দুর্নীতি করিনি। বিচারক নয় সরকারই রায় ঠিক করে রেখেছে।’ এই মামলাকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলেও দাবি করেন তিনি।
বর্তমান সরকারকে জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে বিএনপি। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার মামলা হামলা চালিয়ে প্রতিবাদী কণ্ঠ রুদ্ধ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন খালেদা।
বিএনপি প্রধান বলেন, ‘২০১৪ সালে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি অবশ্যই সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত। তাহলে বিএনপি জনগণের সমর্থনে এখন ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বে থাকতো। যাদের আজ ক্ষমতায় থাকার কথা সেই দলের সঙ্গে বিনা ভোটের সরকার এমন আচরণ করছে যে বিএনপি নির্মূল করাই আজ তাদের প্রধান কাজ।’