তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ স্বার্থান্বেষি মহলের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে আছে যশোর-পাইকগাছা ও তালা- ভোমরা রুটের সরাসরি বাস সার্ভিস। দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাবসা বানিজ্যের প্রসার ও জনভোগান্তি লাঘবে অবিলম্বে উভয় রুটে বাস সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন দক্ষিনাঞ্চলের ভুক্তভোগি লাখো মানুষ।
স্থানীয় ব্যাবসায়ি ও সাধারন মানুষের অভিযোগ , চলমান ডিজিটাল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহুত্বে যোগাযোগ ব্যাবস্থার প্রসার না ঘটিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষকে তুলে দেয়া হয়েছে উল্টো রথে। এরশাদ সরকারের আমলে তালা-পাইকগাছা সড়কের আঠার মাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত প্রসারিত ও উন্নত করনের মাধ্যমে মহাসড়কে রুপ দান করা হয়। দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের সড়ক যোগাযোগ ও ব্যাবসা বানিজ্যের উন্নতি সাধনে কপিলমুনি থেকে যশোর , খুলনা থেকে পাইকগাছা এবং তালা থেকে ভোমরা স্থল বন্দর পর্যন্ত সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা হয়। কিন্ত কয়েক বছর না যেতেই হটাৎ করে যশোর-কপিলমুনি রুটের বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। তাৎক্ষনিক এ গন বিদ্বেশী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে দীর্ঘ দিন যাবত বিক্ষোভ করে তালা, কপিলমুনি, পাইকগাছা ,কয়রা উপজেলার লাখো মানুষ। কারন উল্লেখিত অঞ্চল সহ সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাবসা বানিজ্য আবর্তিত হয় দেশের প্রাচীনতম বানিজ্যিক নগরী যশোর কে ঘিরে। বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন চালিত যান বাহন,মেশিনারী , ইলেকট্রনিক্স মালামাল, খুচরা যন্ত্রাংশ,ষ্টেশনারী প্রভৃতি পন্য এখনও পর্যন্ত যশোর থেকেই আমদানি করে দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাবসায়িরা। ফলে সড়ক পথে সরাসরি বাস সার্ভিস না থাকায় মালামাল আনা নেয়া ও যাতায়াতে স্থানীয় ব্যাবসায়ি ও সাধারন মানুষের সীমাহীন ভোগান্তি তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করে। কিন্ত জনগনের ভোগান্তির কথা বিবেচনা না করে শুধু মাত্র খুলনা বাস মালিক সমিতির স্বার্থে যশোর কপিলমুনি বাস সার্ভিস স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার । শুধু এখানেই শেষ নয় পরবর্তিকালে স্থল বন্দর ভোমরার সাথেও সরাসরি বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ নতুন করে আশায় বুক বাধে , এবার হয়তো গনদাবী বাস্তবায়ন হবে। কিন্ত সরকারের ৯ বছরের শাসনকালের জনগুরুত্বপূর্ন এ দাবীর প্রতি সংশ্লিষ্ট মহল ভ্রুক্ষেপ না করায়, সংবাদপত্রের মাধ্যমে বর্তমান জনদরদী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন দক্ষিনাঞ্চলের ভুক্তভোগি মানুষ।