নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আওতাধীন চর মিরেরবাগ এলাকার সরফরাজ আলী হাওলাদারের নিজস্ব সম্পত্তি এম বি সৈকত-১৪ এম বি সৈকত-১৬ এই দুইটি জাহাজ চলাচলের অযোগ্য হয়ে দীর্ঘদিন যাবত সাগর ডগ ইয়ার্ডে (জাহাজ তুলে রাখার স্থান) রাখা ছিল।
সরফরাজ আলী হাওলাদার জানান,ডগ ইয়ার্ডে পড়ে থাকা তার এই দুইটি জাহাজ জোরপূর্বক কেটে নিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা বাবুল ও তার সহযোগীরা।
এ বিষয়ে সরফরাজ আলী তার সকল বৈধ কাগজপত্র নিয়ে স্থানীয় থানা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে করা নাড়া সত্যেও কোন প্রকারের আইনি সহযোগিতা না পেয়ে, ঢাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩৪৩/২০২২ইং।
পরবর্তীতে আদালত ২৬/০২/২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত ডগ ইয়ার্ডে থাকা জাহাজ দুটির সকল কার্যক্রম স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দেন । তবে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জাহাজ দুটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ কেটে নিয়েছেন দুর্বৃত্তরা।
সরফরাজ আলীর তথ্যমতে জাহাজ কর্তনের সাথে জরিত রয়েছে এমন কয়েকজন ব্যক্তিগণ যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মো: আবুল বাশার বাবুল (৪৮), মো: শাহিন, মো: রাব্বি, মো: খোকন, মো: ফরিদ, রাসেল ও অপু নামের ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের দিয়ে কর্তন করছেন।
এ বিষয়ে আরও তথ্য অনুসন্ধানে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে দেখতে পায় ভিন্ন চিত্র। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কর্মরত শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে সাংবাদিকদের সামনে আসেন জাহাজ দুটির ক্রেতা দাবি করে কয়েকজন ব্যক্তি।
তবে তাদের কাছে সাংবাদিকরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তারা। বরং সরকারদলীয় বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের নাম ব্যবহার করে সাংবাদিকদের বিভ্রান্তিতে ফেলানোর চেষ্টা করে। এবং তারা দাবি করেন জাহাজ দুটি ক্রয় করেছেন খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের স্ত্রী শম্পা ম্যাডামের এর নিকট হতে।
তবে এ বিষয়ে শম্পা ম্যাডামের পি, এস, ফরিদ উদ্দিনের সাথে সাংবাদিকরা মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন প্রশ্নের জবাব দেননি।
অন্যদিকে সরফরাজ আলী হাওলাদার প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন যাতে তার সকল কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি সমাধান হয়।