সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম থেকে : ভুরুঙ্গামারীতে মুক্তিযোদ্ধার বসত বাড়িতে হামলার অভিযোগ। ভুরুঙ্গামারীতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যুরা। এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করেছে ওই ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের মৃত টগরু শেখের পুত্র অসহায় মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলীর সাথে দীর্ঘদিন থেকে ভুমিদস্যু আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের বিরোধ চলে আসছে। আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে হাসর উদ্দিন, আব্দুর রহিম, নজরুল ইসলাম, রহিমা বেগম, ফজলুল হক, রেজিয়া বেগম, আব্দুল আউয়ালসহ সংঘবদ্ধ চক্রটি গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার সময় উক্ত মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলীর বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ বসত বাড়ির গাছ পালা কেটে নেয় এবং স্বর্ণালংকার লুট করে।
এ ঘটনায় মেহের আলী বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল সহ ৮ জনের নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ২৯,তারিখ ২৮ এপ্রিল-২০১৯ ইং।
এদিকে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল গংরা মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসে এবং আব্দুর রাজ্জাক ও হাসর উদ্দিনগং ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩ মে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মেহের আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আবারও বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভেঙ্গে দেয় এবং তাদের মারপীট করে আহত করে।
এর প্রতিকার চেয়ে মেহের আলী কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করে। জেলা পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করায় রাজ্জাক গংরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আবারও বাড়িতে হামলা করে মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলীর স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে বেদম মারপীট করার সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশী মিজানুর রহমান মিজুর স্ত্রী আঞ্জিনা বেগম তাদের উদ্ধার করতে গেলে রাজ্জাক, তার স্ত্রী রহিমা বেগম নিরাশা বেগম তাকেও বেদম মারপীট করে এবং গলা থেকে অর্ধলক্ষাধিক টাকার স্বর্ণের মালা ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় রাজ্জাক উক্ত আঞ্জিনা বেগমের মাথায় বেকি দিয়ে কোপ মারলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় রাজ্জাকের লাথির আঘাতে ৩ মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
আঞ্জিনার চিৎকারে মিজানুর রহমান মিজু তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে উক্ত রাজ্জাক গং তাকেও টেনে হিচড়ে রাজ্জাকের বাড়িতে নিয়ে ঘরে আটকে জোর করে ১০০ টাকা মুল্যের ৩টি ফাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার পর তাকেও মারপীট করে।
তাদের চিৎকার চেচামেচিতে এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে ঐ রাতেই মিজু বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাকসহ ৪ জনকে বিবাদী করে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করে । মামলা নং ২৩,তারিখ ৩১/৫/২০১৯ইং।উক্ত আব্দুর রাজ্জাক ও হাসর উদ্দিন গংয়ের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।