ডেস্ক রিপোর্ট: বেসরকারি ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা-ও প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ সতর্কবার্তা বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করে ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
ইউজিসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করতেই বিজ্ঞপ্তিটি প্রচার করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বিপাকে না পড়ে।
কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দ্বন্দ্ব-মামলা: ঢাকার ইবাইস ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে।
আমেরিকা-বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরে আদালতে রিট আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে ইউজিসি তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পায়, সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অবৈধ ক্যাম্পাস উচ্ছেদ করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা : ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় সরকার। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে কোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রায় দেয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে রিট দায়ের করে ইউজিসির একটি চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে দেয়। তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে ইউজিসি আপিল করেছে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার জন্য কমিশন ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে রিট করলে ২০১৭ সালের ২৯ মে আদালত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএসসহ কয়েকটি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি আমলে নিতে ইউজিসিকে নির্দেশনা দেয়।
দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কুইন্স ইউনিভার্সিটি: সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দিলেও ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
অননুমোদিত ক্যাম্পাস ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের: এগুলো হলো ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া ও অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়।