ডেস্ক রিপোর্ট: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার আগের দিন বুধবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি দলীয় নেতাকর্মী, দেশবাসী, বিচারক, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসন এবং সরকারের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেবেন। একই সঙ্গে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ‘দেশরক্ষার’ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ান আহ্বান জানাবেন।
রবিবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি প্রধান বেগম জিয়া। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য আছে। রায়ের আগে শনিবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। আজ তিনি দুই দিনের সফরে সিলেট যাচ্ছেন।
জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রায়ের দুই দিক নিয়েই আলোচনা হয়। রায়ে ইতিবাচক কিছু হলে পরবর্তী সময়ে কী করণীয় তাও আলোচনা হয়। তবে নেতিবাচক কিছু হলে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি কী হবে তা চূড়ান্ত হয়। এর বাইরে দলের নির্বাহী কমিটির সভায় নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত স্থায়ী কমিটিতে চূড়ান্ত করা হয়। রায়ের আগে আবারো খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বসবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো গণমাধ্যমকে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণজমায়েত নিয়ে রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রায় নেতিবাচক হলে সারাদেশেই একযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। তবে কর্মসূচি যেন শান্তিপূর্ণ হয়, সে ব্যাপারে তৃণমূল নেতাদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে রায় বুঝে ওই দিনই আপিল করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দলের নেতৃত্বের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রায় নেতিবাচক হলে বিএনপি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেয়া হবে। নেতিবাচক পন্থা বর্জন করতে তৃণমূলকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মসূচি কী হবে পরে জানতে পারবেন।