বিশেষ প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের আমদানি ও রপ্তানি কমেছে। এতে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম কমেছে। কানাডাভিত্তিক প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাদ্যম কিটকোর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। স্বর্ণের দর হারানোর অন্যতম কারণ এই দুটিও।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের আগামী ডিসেম্বরের সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৯ ডলার ৬০ সেন্ট। প্রতি আউন্সের দাম স্থির হয়েছে ১৯৬০ ডলার ৫০ সেন্টে। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১৯৭০ ডলার ৫০ সেন্টে। এদিন অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করে চীন। তাতে দেখা যায়, বিদায়ী জুলাইয়ে দেশটিতে রপ্তানি কমেছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন। পাশাপাশি আমদানিও নিম্নগামী হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রণোদনা ঘোষণা করবে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই আশঙ্কায় স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে। চলতি সপ্তাহে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) এবং উৎপাদক মূল্য সূচক (পিপিআই) প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে, গত মাসে জুনের চেয়ে এ দুই সূচকই বৃদ্ধি পাবে। এতে ডলার সূচক ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। একই সঙ্গে তেলের দর কমেছে।
তাতে বুলিয়ন মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওঠা-নামার মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ। বিদায়ী জুলাইয়ে প্রতি আউন্সের সর্বোচ্চ দাম উঠে ২০০০ ডলারের ওপরে। গত জুনে তা সর্বনিম্ন ১৯৩৯ ডলার ২০ সেন্টে নিমে গিয়েছিল। চলতি মাসে যা আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। চলতি সপ্তাহে আউন্সপ্রতি সর্বাধিক দর দাঁড়ায় ১৯৭২ ডলার ৮০ সেন্টে।