জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক সপ্তাহ পর চলমান বিধিনিষেধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
গত ২১ জানুয়ারি ছয় দফা বিধি-নিষেধ সম্বলিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়- ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। স্কুল, কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে টিকা সনদ অথবা আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে। সব অফিস, শিল্প কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। বাসার বাইরে সব জায়গায় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া রবিবার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- করোনার সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবল নিয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পর চলমান বিধিনিষেধ বাড়বে কিনা তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তরা সেরে উঠতে অল্প সময় নিচ্ছে। রিকভারি রেট খুবই ভালো। ৮৫ শতাংশের বেশি সংখ্যক আক্রান্ত মানুষ ঘরে থেকে ট্রিটমেন্ট নিয়ে সেরে উঠছেন। আগামী এক সপ্তাহ আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবো, পরে সেই অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা দেবো।।’
তিনি বলেন, ‘সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, এই তৃতীয় ঢেউ থেকে দ্রুত উত্তোরণ করতে। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে।’