সৈয়দ ওবায়দুল হোসেন, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ আজ ২৯ জুলাই বুধবার বাগেরহাট চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে বাগেরহাটের ফকিরহাটের দুই অসাধু ব্যবসায়ী ও এক ইউপি সদস্য চাঁদাবাজী মামলায় আত্বসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সাতসৈয়া গ্রামের কাজী সুলতানের ছেলে হোটেল ব্যবসায়ী কাজী ইয়াছিন, একই ইউনিয়নের আট্রাকী গ্রামের খোকা শেখের ছেলে ইট বালি ব্যবসায়ী শেখ সৈয়দ আলী এবং একই গ্রামের ইউপি সদস্য মৃত শেখ বাড়ৈ মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম একত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফফার মিয়ার ছেলে তোরাব মিয়া একটি মিথ্যা মামলার আসামী হলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার কাজ থেকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে রেহাই পাইয়ে দেওয়ার কথা হয়।
এদিকে টাকা নেওয়ার পরেই উক্ত মামলার আসামীগন চোখ পাল্টি দিয়ে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বাদির ছেলেকে জামিনের জন্য কোন সহযোগিতা না করে উল্টো বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। একপর্যায়ে বাদী বাধ্য হয়ে তার ছেলের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করে এবং ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী খালাস প্রদান করেন আদালত।
ছেলেকে খালাসের পর আসামীদের নিকট চাঁদা বাবদ প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে আসামীগন বলেন, তোর ছেলেকে নতুন কোন মামলায় শ্রেণিভুক্ত করবোনা এই কারণে চাঁদার টাকা নিয়েছিলাম। টাকা ফেরত দিতে পারবোনা। তুই পুনরায় টাকা ফেরত চাইলে তোর ছেলেকে নতুন মামলা করে জেলে ঢুকাবো। আর এ বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে গেলে বা কোথাও নালিশ জানালে তোর ছেলেকে মেরে ফেলবো।
দিনের পর দিন হুমকি দেওয়ায় একপর্যায়ে তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের সরনাপন্ন হলে আদালত ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করলে ফকিরহাট মডেল থানায় উক্ত তিন আসামীর বিরুদ্ধে গত ২১ এপ্রিল পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩৮৫,৩৮৬,৩৮৭/৫০৬(২) এ চাঁদাবাজি এবং চাঁদার টাকা আদায়ের মামলা দায়ের করে যার নং -১৯,তারিখ ২১-৪-২০২২।