অনলাইন ডেস্ক : আগামী ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেস। এর মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পাবে যুব সংগঠনটি। সম্মেলনের পূর্বে দিক নির্দেশনা নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে বসবেন যুবলীগ নেতারা। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বিতর্কিত যুবলীগ নেতারা।
জানা গেছে, জাতীয় কংগ্রেস উপলক্ষ্যে আগামী রোববার বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, বিতর্কিতদের বৈঠকে উপস্থিতর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি পদ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ চেয়ারম্যানকে বৈঠকে না নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কার্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে তারাও অংশ নিতে পারবেন না বৈঠকে।
যুবলীগের বৈঠকে কারা থাকবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার বৈঠক করে যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। সেখানে যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমান সাংসদ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ায় তাকেও বৈঠক থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে যুবলীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ‘মনস্টার’ সম্বোধন করে তাদের পদ থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সভায় যুবলীগের কিছু নেতার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতাদের তিনি একটি ছবি দেখান। ওই ছবিতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের পাহারায় যুবলীগের একজন নেতাকে অবস্থান করতে দেখা যায়। বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে জুয়ার আড্ডায় অংশ নেয়ার অভিযোগ আনেন। এরপর থেকেই যুবলীগের এসব নেতার ব্যাপারে খোঁজ-খবর শুরু করে এবং পরবর্তীতে অ্যাকশনে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে ওমর ফারুক চৌধুরী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর পদভেদে ১০ লাখ থেকে শুরু করে ৬০-৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়ে অনেকে পদপদবি পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো বিক্রি হয়েছে অর্ধ কোটি টাকা করে।
যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানকে দিয়ে সব টাকা সংগ্রহ করা হতো বলে জানা গেছে। অভিযানের মুখে সেই আনিসের এখন হদিস মিলছে না। যারা টাকার বিনিময়ে পদ নিয়েছেন পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রমাণ পায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।