সদরুল আইন:
পটুয়াখালীতে চুক্তি ভেঙ্গে রুপালী ফিলিং স্টেশন ও কে এস ফিলিং স্টেশন দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে একটি মহল। লিজ দিয়ে টাকা ফেরত না দিয়ে গায়ের জোরে মালিক পক্ষ লিজ গ্রহীতাকে বের করে দিতে চালাচ্ছে অপতৎপরতা।
প্রভাব ও অর্থের দাপটে অবৈধভাবে দখলে নিতে চাচ্ছে ফিলিং স্টেশন ২টি। প্রতিকারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন লিজ গ্রহীতাগণ।
থানায় দায়ের করা এজহার থেকে জানা যায়, পটুয়াখালীর কালিকাপুর এলাকার মোঃ হালিম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সকল নিয়ম নীতি মনে আলোচনার ভিত্তিতে ৯ লাখ টাকা অগ্রীম প্রদান করে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের কাছ থেকে উল্লেখিত ফিলিং স্টেশন ২টি লিজ গ্রহণ করেন।
তিনি বরগুনার শাখারিয়া এলাকার আমতলী,বরগুনার গোলাম সরোয়ার ফোরকানের কাছ থেকে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে উক্ত ফিলিং স্টেশন ২টি লীজ গ্রহন করে, এ যাবতকাল সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন এবং চুক্তি অনুসারে মালিক পক্ষকে নিয়মিত মাসিক ভাড়া প্রদান করে আসছিলেন। ভাড়া প্রদানের রশিদসহ অন্যান্য প্রমানও রয়েছে তাদের কাছে। রয়েছে সাক্ষ্যিগণের সাক্ষ্য।
কিন্তু কিছুদিন ধরে গোলাম সরোয়ার ফোরকান গায়ের জোরে, অদৃশ্য শক্তির ইশারায় চুক্তির সকল নিয়ম নীতি না মেনে, এমনকি জামানতের ৯ লাখ ও ৩৫ লাখ সর্বমোট ৪৪ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে নানা রকম হুমকি প্রদান করে আসছেন।
এমনকি তিনি ফিলিং স্টেশনেগুলোতে স্বশরীরে এসে স্টেশনটি জোরপূর্বক দখলের অপচেষ্টাও চালিয়েছেন।জামানতের টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে থাকেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ।
এছাড়া ভূক্তভোগীগণ এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদের ক্ষতি সাধন করবেন বলেও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে আসছেন।
বিষয়টি এলাকাবাসিকে অবহিত করে মোঃ হালিম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম স্থানীয় থানায় অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।