মহান স্বাধীনতা দিবসে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। স্থানীয় সময় রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটকে ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে ফলক উম্মোচন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের কাছেতো অবশ্যই, এমনকি যারা দেশ থেকে বেড়াতে নিউইয়র্কে যান তাদের কাছেও জ্যাকসন হাইটস খুব পরিচিত জায়গা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণের আড্ডার জায়গা এই এলাকা। আর জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিট ও ৩৭ অ্যাভিনিউ হচ্ছে এর মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই স্ট্রিটকেই ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামকরণ করা হলো। আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা যখন ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামফলক উন্মোচন করেন তখন পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে ‘জয়বাংলা’ স্লোগানে। বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন করেন জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্ট এলাকার নবনির্বাচিত সিটি কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণান। জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ)এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সদস্য গ্রেস মেং, অ্যাসেম্বলি সদস্য ক্যাটালিনা ক্রুজ, জেবিবিএ’র নেতা গিয়াস আহমেদ, হারুন ভুঁইয়া, ফাহাদ সোলায়মান, তারেক হাসান খানসহ শত শত বাংলাদেশি।
নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিটি কাউন্সিলের সভায় ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ নিলে পরে ৪৭-০ ভোটে তা পাস হয়। সেই থেকে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটের নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’। বিলটির সিদ্ধান্ত নম্বর হলো- আইএনটি ৮৯৭।
গত বছর জুলাই মাসে উক্ত জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ)এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। জেবিবিএ’র বর্তমান সভাপতি হারুন ভুঁইয়া ও সাধারন সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান নিউ ইয়র্ক সিটি’র কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব পাঠান। তাদের দেওয়া তাগিদেই প্রস্তাবটি পাস করানোর চেষ্টা চালান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিল সদস্যরা।