নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নাছিরনগরে বিনা নোটিসে কোর্টের নির্দেশে একটি বসত বাড়ি উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ঐ উচ্ছেদের শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ০৯ আগষ্ট বুধবার নাছিরনগর থানার পুর্ববাগ ইউনিয়নের বেলুয়া গ্রামে ।
অসহায় উচ্ছেদ হওয়া পরিবার জানান, ১৯৮০ সালের পর থেকে প্রায় ৪৩ বছর আমরা ৪ ভাইসহ পরিবারের অন্যানো সদস্য মিলে এইবাড়িতে বসবাস করে আসছি, কিন্তু হঠাৎ গত ০৯/০৮/২০২৩ ইং তারিখে বিনা নোটিসে কোর্টের নির্দেশে আমাদের বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়।
তারা আরও জানায় প্রায় ৪৩ বছর পূর্বে আমার পিতা মোঃ মৃত ইদন মিয়া, মুসলিম মিয়া ও সুরুজ ভানু যৌথভাবে মৃত মোসাম্মৎ রেশম ভানুর কাছ থেকে তার পিতা মৃত উম্মেদ আলীর থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ১১.২৫ শতক জমি ক্রয় করে যার খতিয়ান নং ৪৫১ ও দাগ নং ৪০৫ ও ৪০৬ এবং এই জমি ক্রয়ের সাক্ষ প্রদান করেন রেশম ভানুর ভাই মজনু মিয়া, যার মুল দলিল, খাজনা খারিজ সহ যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের নিকট বিদ্যমান।
কিন্তু ২০০৬ সালে জমি বিক্রেতা মৃত মোসাম্মৎ রেশম ভানুর চাচাতো ভাই মৃত মো: কলমদারের ছেলে মৃত গোলাম হোসেন তার ছেলে তৌহিদ ও রেশম ভানুর অন্য আরেক চাচাতো ভাই মৃত মো:ওয়াদ আলী তার ছেলে মোহাম্মদ ছায়েব আলী উক্ত জমি ওয়ারিস হিসেবে পাওনাদারের দাবিতে মৃত মোসাম্মৎ রেশম ভানু ও তার ভাই মজনু মিয়ার নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত থেকে মামলায় তৌহিদ ও মোহাম্মদ ছায়েব আলী পক্ষে রায় আশায় গত ০৯/০৮/২০২৩ ইং তারিখে বিনা নোটিসে কোর্টের নির্দেশে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয় ।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মৃত মো:ইদন মিয়ার ছেলে মো: মোহসিন বলেন,তাদের মধ্যে ওয়ারিশ সুত্র নিয়ে কি ঝামেলা আছে সেটা আমরা জানতাম না,আমার পিতা জমি ক্রয়ের সময় বৈধ দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ জমি ক্রয় করেছে ।
তারপর ও দীর্ঘ ৪৩ বছর পর আমাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সহ আমরা যে মাথার গোজার ঠাই হারালাম তার বিচার কার কাছে চাইবো ।