সায়মন ওবায়েদ শাকিল, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে : নবীনগরে ধর্ষক নাঈমের বাবার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিন ইউনিয়নে শালিকাকে ধর্ষনের পর হত্যার ঘটনায় দুলাভাই নাঈম ইসলামকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। ছেলের এই অপকর্মের ঘটনায় লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন ধর্ষক নাঈমের বাবা বসু মিয়া।
গত ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নাঈম ইসলাম (২৭) শালিকা তামান্না আক্তারকে (১৫) ধর্ষণের পর হত্যা করে। ছেলের এই অপকর্মের ঘটনায় এলাকায় জানাজানি হলে লজ্জায় তিনি নবীনগর উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। হতাশাগ্রস্ত বাবা ছেলের এই অপকর্ম সহ্য করতে না পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে শনিবার ভোরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাঈমের বাবা বসু মিয়া।
সকালে নবীনগর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন ।নিহত বসু মিয়া ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ২০শে তামান্নার বড় বোন নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার জানান, নাঈম ও তার বাবা বসু মিয়া জেলা শহরের সড়ক বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। গত (১৯জুন) সোমবার বাবার বাড়িতে খবর দিয়ে তামান্নাকে বেড়াতে আসতে বলেন নাঈম। রাতে আমার শ্বশুর বসু মিয়া শহরে পাহাদারের কাজ করতে গেলেও নাঈম জাননি। নাঈম এর বউ কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নাঈম জানায়, তিনি সকালে ঢাকায় যাবেন তার মাকে আনতে।
তিনি আরও জানান, রাত সাড়ে নয়টার দিকে নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ায়। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় নাঈম এর বউ স্মৃতি সেই জুস খান। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সেই সুযোগে নাঈম তার শালিকার উপর ঝাপিয়ে পড়েন, ধর্ষণের সময় চিৎকার শালিকা তামান্নাকে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে ঘাতক নাঈম।