জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাফুফের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে গত কয়েক বছরে অসংখ্য বারই এসেছেন জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। তিনি আজ (শুক্রবার) একটু ভিন্নভাবেই আসলেন। জাতীয় দলের টি-শার্ট পরে হেড কোচের আসনে বসে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলেন মিন্টু। জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এএফসি অ-২৩ বাছাই খেলতে যাচ্ছেন।
টুর্নামেন্টটিতে ১১ টি গ্রুপ রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা পাঁচ রানার্স-আপ মূলপর্বে খেলবে। বাংলাদেশের মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে কোচ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মূলপর্বে খেলার লক্ষ্য নিয়ে যাব। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথমে পয়েন্ট পেলে তখন মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা আরও বাড়বে।’
এই সপ্তাহেই সিনিয়র জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আবার এশিয়ান গেমস রয়েছে। সব মিলিয়ে অ-২৩ দল পূর্ণ শক্তির নয়। বিষয়টি মেনে নিয়েও সর্বোচ্চ প্রত্যাশাই করছেন মিন্টু, ‘বয়স ২৩-এর নিচে এমন সাত জন (মোরসালিন, দিপকসহ আরও পাঁচ জন) খেলোয়াড় সিনিয়র দলে রয়েছে। তারা আসলে অবশ্যই দলীয় শক্তি বৃদ্ধি পেত। কিন্তু সিনিয়র দলের প্রীতি ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। আবার সামনে এশিয়ান গেমস। সেই দলে যারা রয়েছে তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বিদ্যমান সামর্থ্যের মধ্যে আমরা সর্বোচ্চটা দেব। আমাদের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। তাদের সাম্প্রতিক খেলাগুলো দেখেছি। তারা আমাদের সামর্থ্যের খুব বাইরে নয়।’
সিনিয়র জাতীয় দলে খেলেছেন এমন চারজন রয়েছেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে। এদেরই একজন ইয়াসিন আরাফাত এই দলটির অধিনায়কত্ব করবেন। জাতীয় দলে এক সময়কার নির্ভরযোগ্য এই ফুটবলার সাফের চূড়ান্ত স্কোয়াডে ডাক পাননি। পুনরায় জাতীয় দলে প্রবেশের চেয়ে জুনিয়র দলের দায়িত্বেই তার আপাতত মনোযোগ, ‘আমি এখনকার দায়িত্ব নিয়েই ভাবছি। এই দলে সেরাটা দিতে চাই। সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই জাতীয় দলেও বিবেচনা করবে।’
গোলের খেলা ফুটবল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গোল স্কোরিংয়েই মূল সমস্যা। এএফসি অ-২৩ টুর্নামেন্টেও এটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে স্বীকার করলেন কোচ মিন্টু, ‘এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। গোল শুধু টেকনিক্যাল নয়, সাইকোলজিক্যালও বিষয়। খেলোয়াড়দেরও বিশ্বাস থাকতে হবে সে পারবে। গোল করতে করতে সে এতে অভ্যস্ত হবে।’