দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে গত কয়েকদিনে প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এবং ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩ জনে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখনও নিখোঁজ থাকা বহু মানুষের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
রয়টার্স জানিয়েছে, বন্যার পানিতে ভেসে গেছে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসবের প্রভাবে আফ্রিকার ব্যস্ততম বন্দর ডারবানের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রাদেশিক এক আর্থিক কর্মকর্তার হিসাবে বন্যায় অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমাণ ৬৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের বেশি দাঁড়াবে।
প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী শিলে জিকালালা বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪৩ জনে ঠেকেছে। আর ৬৩ জনের কোনো হদিস নেই।
বেশি আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, রোববার আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলা হয়েছে। এ নিয়ে তারা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকেই তাদের নিখোঁজ প্রিয়জনের খবর পেতে দুশ্চিন্তা নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
সানশাইন গ্রামের বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সী সোবোঙ্গেলে মোজোকা জানান, কয়েকদিন ধরেই তিনি তার আট বছরের ভাইপোর কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা হারাইনি। যদিও দিন গড়ালেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে।’
মোজোকা রয়টার্সকে বলেন, ‘বৃষ্টি দেখলেই আমরা ট্রমাটাইজড হয়ে যাচ্ছি।’ বন্যায় তার বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরেক গ্রামে বাড়ির দেয়াল ধসে একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই পরিবারের চার বছরের এক শিশু এখনও নিখোঁজ।
প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় মনোনিবেশ করতে পরিকল্পিত সৌদি আরব সফর পিছিয়ে দিয়েছেন। সংকট মোকাবিলায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।