মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে ‘অযোগ্য’ এবং ‘ভীষণ অকার্যকর’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। ব্রিটেনের মেইল অন সানডে পত্রিকা সদ্য ফাঁস হওয়া কিছু কূটনৈতিক নথির উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার একথা জানায়।
খবরে বলা হয়, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডারোক বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকার বিষয়টি ‘মুখ থুবড়ে পড়ে ছারখার’ হতে পারে এবং তার ক্ষমতার মেয়াদ ‘মর্যাদাহানিকরভাবে শেষ’ হতে পারে। ব্রিটেনে পাঠানো বিভিন্ন তারবার্তা ও ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এসব মন্তব্য করেছিলেন।
‘এই প্রশাসন উল্লেখযোগ্যভাবে আরও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এমনটা আমরা বিশ্বাস করি না। এটা কম অকার্যকর, কম অননুমেয়, কম বিভাজিত, কূটনৈতিকভাবে কম অবিচক্ষণ ও কম অদক্ষ হয়ে উঠবে এমনটা মনে হয় না,’ একটি বার্তায় ডারোক লেখেন বলে জানায় জানায় মেইল অন সানডে।
মাত্র গতমাসেই ট্রাম্পকে ব্রিটেনে স্বাগত জানিয়েছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে সবচেয়ে মারাত্মক মন্তব্যে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত তাকে ‘দৃঢ়তাহীন’ ও ‘অযোগ্য’ বলেও অভিহিত করেন।
ব্রিটেনে ট্রাম্পের বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় সফরের পর, একটি বার্তায় ডারোক বলেন, রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার দলের ‘চোখে ধাঁধা লেগে গেছে’। কিন্তু, একই সঙ্গে তিনি এই বলেও সতর্ক করে দেন, এই মুগ্ধতা বেশিদিন স্থায়ী নাও হতে পারে। কারণ, ওই দেশ এখনও ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিতে চলছে। ডারোক হোয়াইট হাউজের ভেতরে ‘বিদ্বেষপূর্ণ আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিশৃঙ্খলা’র কথাও লেখেন তার বার্তায়।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রচারিত এই বিশৃঙ্খলার কথা ট্রাম্প ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিলেও এগুলোর ‘অধিকাংশই সত্যি’ বলে জানান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত। ডারোক ব্রিটেনের সবচেয়ে অভিজ্ঞ কূটনীতিকদের একজন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি ওয়াশিংটনে নিযুক্ত হন।