টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে কাঙ্খিত সেবা ও গুণগত মান নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৮ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ সেবায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে আরো সক্ষম হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জনগণের কাছে টেলিযোগাযাগ ও তথ্য প্রযুক্তিকে যেভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি সেটা গর্ব করার মত। কিন্তু এটিও বাস্তবতা আমার গত সাড়ে চার মাসের মত মন্ত্রীত্বকালীন যার কাছে গিয়েছি, যখনই গিয়েছি, তখনই ছোট্ট করে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যে পরিমাণ সেবা তাদের কাছে পৌঁছানো উচিৎ ছিল, আমাদের সেবার যে গুণগত মান থাকা উচিৎ ছিল, সে জায়গাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আছে।
দেশে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়লেও গ্রাহকরা প্রায়ই উচ্চমূল্যের পাশাপাশি ইন্টারনেট ধীরগতি, নেটওয়ার্ক সমস্যা, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ও ব্যবহারের চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেয়াসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ করে আসছেন।
সেবার মানের দিকে আরও গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা টেলিকম অপারেটর আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করব, বিটিআরসির প্রতি অনুরোধ করব, আমাদের এই সেবাগুলো জনগণের জন্য, জনগণ যদি তৃপ্ত না থাকে এবং জনগণ যদি ক্ষুদ্ধ থাকে তাহলে এ সেবা কোনোভাবেই আসলে তাদের কল্যাণে কাজে লাগে না। আমাদের কেবল মাত্র সংখ্যার দিকে তাকালে হবে না। গুণগত মানের দিকে তাকাতে হবে এবং জনগণকে তার হাতিয়ার হিসেবে তথ্য প্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযাগকে ব্যবহার করার সকল সক্ষমতা দিতে হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ দেশের সব ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড সংযুক্তি পৌঁছে যাবে বলেও জানান মন্ত্রী।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করবে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ফাইভ-জি চিপ বাজারে আসছে। আমাদের মনে রাখতে হবে মোবাইলের যাত্রার সময় পিছিয়ে ছিলাম, থ্রিজি ও ফোর-জিতে পিছিয়ে ছিলাম। আমাদের অনুভব করতে হবে ফাইভ-জি নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়তে পারে না।
এ সময় টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।