ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরী-মুকরি ইকো-পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। বৃহষ্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুর ১২টার দিকে দ্বীপকন্যা চর কুকরী-মুকরীতে এ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভোলা জেলা সদর থেকে ১৭০ কি:মি এবং চরফ্যাশন উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০০ কি:মি দক্ষিণে বঙ্গোপসগারের কূলঘেঁষে সাগরকন্যা মুকরী-মুকরি পর্যটন দ্বীপের অবস্থান। প্রায় ২০ বর্গ কি:মি আয়তনের ম্যানগ্রোভ বাগানসহ ৪০বর্গ কিমি আয়তনের কুকরী-মুকরি একটি ইউনিয়ন।
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সনের ১৩ ডিসেম্বর কুকরী-মুকরি সফর করেন এবং কুকরী-মুকরির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দ্বীপটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। জাতিরজনকের স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সেই সুদূর প্রসারী চিন্তার ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে কুকরী-মুকরী ইকো-পার্ক।
কুকরী-মুকরী ইকো-পার্কে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, হরিণ প্রজনন কেন্দ্র, ১০০ ফুট উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড, ম্যানগ্রোভ বাগানের অভ্যন্তরে ওয়াক ওয়ে, বাগানের খাল আর সাগর কূলে নৌ বিহারের জন্য আধুনিক নৌ-যানসহ পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য নানান আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে এই ইকো-পার্কে।
ইকো-পার্ককে ঘিরে ৫ মেঘাওয়াট ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করা হবে। এই ইকো-পার্ক প্রকল্পে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই পর্যটকদের জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফোর স্টার মানের আধুনিক রেষ্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।
যে রেষ্ট হাউজে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, হেলিপ্যাড, টেনিস কোর্ট এবং সুইমিংপুল আছে। বুধবার বিকেলে কুকরী-মুকরি পৌঁছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই রেষ্ট হাউজে রাত্রীযাপন করেছেন।
পরে রাষ্ট্রপতি সেখানের অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন ও বৃক্ষরোপন করেন। এসময় ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বন ও পরিবেশ উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।