সর্বশেষ সংবাদ
Home / Uncategorized / গ্রেফতার এড়াতে গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে
Oplus_0

গ্রেফতার এড়াতে গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে

 

সদরুল আইনঃ

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশের মত গাজীপুরের শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ রাজনীতির দৃশ্যপটে নেই তিন দশক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা দাপুটে রাজনৈতিক নেতারা।মেয়র আনিছুর রহমান বাদে অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি চলে গেছেন আত্মগোপনে।

কিছুদিন আগেও যেসব জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের বিশাল সিন্ডিকেট মাঠে সক্রিয় ছিল,হাল ধরে ছিল ঝুট বালি ব্যবসাসহ অর্থনৈতিক জোনসমুহে তারা আজ দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে।সেসব কথিত ত্যাগী নেতাদের এখন আর জনগনের পাশে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।অথচ তাদের ত্যাগের গৌরব প্রচারে দীর্ঘ বছর মুখরিত ছিল তাদেরই একশ্রেনীর পদলেহনকারিরা।

ইতিমধ্যেই এই জনপদে স্বাভাবির পরিস্থিতি ও সহাবস্থান ফিরে এলেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সাথে সাথে বিএনপির খোলসে অনেক পাতি নেতা উপ-নেতা চরম দাপট প্রদর্শণ করে দখল বানিজ্য ও ত্রাস চালিয়েছে এখানকার বিভিন্ন জনপদে।

সময়ের পরিক্রমায় তাদের অপকর্ম ফিকে হয়ে এলেও ইন্ডাস্ট্রির ঝুট ব্যবসা হাতিয়ে নেওয়ার মিছিলে তারা এখনো সক্রিয় এবং আপোষহীন।

গাজীপুর-৩ আসনে ৯০ দশকের পর এখানকার আওয়ামীগ রাজনীতি চলে যায় একশ্রেনীর সদ্য গজানো আওয়ামী লীগের হাতে।যারা নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে প্রথম থেকে প্রতিষ্ঠাতা পরিবারগুলোর প্রতি কাঁচি চালাতে থাকে।তাদেরকে পদ পদবি, জনপ্রতিনিধির আসন থেকে বঞ্চিত রেখে রামরাজত্ব কায়েম করতে থাকে।

ফলে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত অনুসারিরা, বিশেষ করে এই জনপদে দলটির প্রতিষ্ঠাতা পরিবারগুলো এদের হাতে নিগৃহীত হতে থাকে।অনেকেই দলের মূল স্রোত থেকে ছিটকে পড়তে বাধ্য হয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে বসে থাকা সদ্য গজানো দলিয় কথিত নেতাদের নানা কারসাজি ও ষড়যন্ত্রের কাছে।

যেসব নেতারা ৩ দশক ধরে কথিত জনসেবক সেজে নানা অপকর্ম করে গেছে এবং নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিল, তারা আজ জনসেবা ছেড়ে আত্মগোপনে।সেইসব জনসেবকদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আজ।

একমাত্র শ্রীপুরের বারবার নির্বাচিত মেয়র আনিছুর রহমানসহ প্রকৃত দলপ্রেমিক ও প্রতিষ্ঠাতা পরিবারগুলো দলিয় বিপর্যয়ের সামনেও আত্মগোপনে না থেকে প্রকাশ্যে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার যদি সহসায় নির্বাচন দেয় আর সেই নির্বাচনে আ,লীগ দলিয়ভাবে যে মনোনয়ন দেবে না বা দেওয়ার মত অবস্থানে থাকবে না তা অনেকটাই দৃশ্যমান।এক্ষেত্রে এ আসনে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের নির্বাচন করার মত পরিস্থিতি থাকবে না তা নিশ্চিত।

তবে বিএনপি’র সাথে ক্লীন ইমেজে থাকা দূর্নীতিমুক্ত পদ বঞ্চিত আ,লীগের কতিপয় নেতা যে মাঠে নেমে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

বিশেষ করে এই জনপদটি আওয়ামী অধ্যূষিত হওয়ায় দলটির যেসব ক্লীন ইমেজের ব্যক্তি এতদিন দলের মূলস্রোত ও শীর্ষ পদ থেকে বঞ্চিত ছিলেন তারা দলিয় প্রতিক না পেলেও ব্যক্তি ইমেজের কারনে সাফল্যের পথে হাঁটবেন এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

অপরদিকে আত্মগোপনে থাকা নেতারা তিনদশক ধরে যে কারচুপি,আধিপত্য,প্রশাসনকে ব্যবহার করে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার নিঠুর পরিহাসে জড়িত ছিল বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তাদের সেই কারিশমা কোন কাজে আসবে না।এমনকি তারা নিজেরাও নির্বাচন করতে পারবেন।জনগনের সামনে এসে ভোট চাওয়ার মুখও তাদের থাকবে না।কারন দলিয় সরকারের পতনের পর বিপর্যের সময় তারা আত্মগোপনে ছিল।জনগনের পাশে তাদেরকে দেখা যায়নি।আবার নিজেদের অপকর্মের কারনে অনেকেই বিদেশে পাড়ি জমাবেন এবং জেলের প্রকোষ্ঠে বন্দিও থাকতে হতে পারে।

আর এ কারনেই এখানকার বঞ্চিত জনগ্রহনযোগ্য সৎ নেতৃত্ব ফেয়ার ফ্রি নির্বাচন হলে প্রথম সাফল্যের বেলাভূমিতে পা রাখতে সক্ষম হবেন।এলাকার উন্নয়নে তারা বিশেষ অবদানও রাখতে পারবেন।এরা কখনোই জড়াবেন না বহুল আলোচিত ঝুট ব্যবসায়।দল ফিরে যাবে তার সত্যিকারের আপন ঠিকানায়।স্বস্তি, শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সহাবস্থানের এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে এই জনপদে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

লালমনিরহাটের মদাতীতে সংস্কারের নামে হরিলুট

রাজু মিয়া, লালমনিরহাট প্রতিনিধি, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ২নং মদাতী ইউনিয়নের ৪নং ...