কাবিরুল ইসলাম,গোমস্তাপুর(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার(২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রহনপুর পৌরসভার মুক্তাসা হল রোডের মেডিকেল রোড কলোনী মসজিদের পাশে দেলোয়ার হোসেন এর থাই এন্ড এ্যালুমিনিয়াম দোকানের ভিতর হতে কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির এবং কোম্পানী উপ অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অতি মূল্যবান মুদ্রা (চার কোটি টাকা) বিক্রয়ের নামে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের লক্ষ টাকা আত্মসাতকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতা সহ ৪ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
মূলহোতা জোহাক আলী ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০),(সোবাহান নগর কলোনী রহনপুর), স্থায়ী ঠিকানা-সাং-নুনগোলা (৬নং ওয়ার্ড,রহনপুর পৌরসভা), মোঃ এরফান আলী (৬৫), পিতা-মৃত সাজ্জাদ আলী,, সাং-সাহেবগ্রাম, উভয় থানা-গোমস্তাপুর, মোঃ ওবায়দুল ইসলাম (৪০), পিতা-মোঃ জোবদুল হক, সাং-রহনপুর, ডাকবাংলা পাড়া, থানা-গোমস্তাপুর, স্থায়ী সাং-শিমুলতলা, থানা-নাচোল, সর্ব জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪৩), পিতা-মৃত আব্দুর রাজ্জাক, সাং-দেউলিয়া, থানা-বদলগাছি, জেলা-নওগাঁ ভূয়া কয়েন- ১টি, কাটার- ২টি, সহ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুদ্রা গুলো অনেক মূল্যবান এবং উচ্চ বিকিরণ জাতীয় পদার্থ এর মূল্য বিশ্ব বাজারে অনেক বেশি এসব নানান কথা বলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারণার কৌশল হিসেবে প্রথমে তারা সহজ সরল কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের সাথে একটি ভালো সম্পর্ক তৈরী করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে এবং বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে তাদের সাথে থাকা কয়েনের বিভিন্ন কৌশল দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে সহজ সরল সাধারণ লোকজন তাদের বিশ্বাসের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের সর্বস্ব অর্থ তাদের কাছে প্রদান করে। এক সময় প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা হতে উধাও হয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যক এলাকা হতে হাতে নাতে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।