গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রকে মিথ্যা মামলায় জরিয়ে পরিবারকে হয়রানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের কিশামত দুর্গাপুর গ্রামের নূরুল আমিনের ছেলে নাকাই হাট বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সোহেল রানা (১৪) বিরুদ্ধে জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ঘোড়াবান্ধা (ভিঠাপাড়া) গ্রামের মৃত বাহার আলী শেখের ছেলে লিচু মিয়া বাদী হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর/১৭ তারিখে পলাশবাড়ী থানায় ১৬ নং মিথ্যা অপহরন মামলা দায়ের করে। মামলার বিবরনে জানা যায় সোহেল রানা ও তার অন্য সহযোগীরা গত ৭ সেপ্টেম্বর/১৭ তারিখে লিচু মিয়া তার ৭ম শ্রেণির স্কুল পড়–য়া মেয়ে লিমা আক্তার (১৬) ও জ্যাঠাতো ভাইয়ের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুম খাতুন (১৩) দেরকে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার মিথ্যা মামলা করে।
এ দিকে মামলার বাদী লিমার বাবা লিচু মিয়াকে তার বাড়ীতে পাওয়া না গেলে ০১৯৩২১৪৬৪৯৫ নং মোবাইলে ও লিমার মায়ের নিকট জানা যায়, ঘটনা সত্য। তবে লিমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা জানান মেয়ের নাকাই ইউনিয়নের নাকাই কলেজ পাড়ায় বিবাহ হয়ে গেছে। লিমা এখন তার শশুর বাড়ীতে স্বামীর ঘর সংসার করছে। জামাই ও জামাইয়ের বাবার নাম জানতে চাইলে তারা নাম জানাতে অস্বীকৃতি সহ এ ব্যাপারে টানাহ্যাচরা করতে বারন করেন।
অপর দিকে মামলায় সোহেল রানার বয়স (১৯) বছর দেখালেও ২০১৬ সালের জে এস সি পরীক্ষার সনদপত্রে তার জন্ম তারিখ- ৫ এপ্রিল/২০০৩ অনুযায়ী বয়স (১৪) বছর। সোহেল রানার পিতা জানান, লিচু মিয়া এরকম মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকে। এ কারনেই সে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য এবং আমার ছেলের জীবন নষ্ট করার চেষ্টায় এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমার নিকট থেকে মামলা মিমাংশা করার জন্য ২ লক্ষ্য টাকা দাবী করেন। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানান তিনি।