দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কী রায় আসবে, সেটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগেই কীভাবে জানলেন, সেটি তার কাছে জানতে চেয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
শনিবার ঢাকার সাভারে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করতে সেখানে যান তিনি।
হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২৫৫ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় ৩২ কিলোমিটার সড়কটি চওড়া করার পাশাপাশি সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ কা হবে। তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজটি শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা নিয়ে কাদেরের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় রায় দেয়ার তারিখ ঘোষণা করেছেন বিচারক। আর এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে রায় হবে সেটা আগেই নির্ধারণ করা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, গোটা বিচার প্রক্রিয়াই প্রহসন।
বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আদালত কী রায় দেবে, বেগম জিয়াকে সাজা দেবে কি না তা মির্জা ফখরুল কীভাবে জানলেন যে সেটা তারা আগেই বলে দিচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার কী সাজা হবে এটা আদালতের এখতিয়ার। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তথ্যের ভিত্তিতে আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে সরকারের কোন হাত নেই। ’
খালেদার সাজা হলে দেশে আগুন জ্বালানোর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের হুমকির বিষয়ে কাদের বলেন, ‘বিএনপি যদি আন্দোলনের নামে আবারও জ¦ালাও পোড়াও করতে চায় তাহলে জনগণই তাদেরকে প্রতিহত করবে।’
‘আদালতের বিরুদ্ধে যারা হুমকি দিতে পারে, আমরা মনে করি তাদের হাতে দেশ-গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থা কোনটাই নিরাপদ নয়।’
আদালতের স্বাধীনতায় সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘যদি আদালত স্বাধীন না হতো তাহলে খুনের মামলায় আওয়ামী লীগের এমপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কারাগারে থাকত না।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জরিপ অনুযায়ী দেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেবে।’
পরে স্থানীয় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকরুল আলম সমরকে সঙ্গে নিয়ে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন ওবায়দুল কাদের।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এনামুর রহমান, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।