নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: কুতুবপুরে কিশোর গ্যাং কালচার দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। মাদক নেশায় জড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে চুরি, ছিনতাই, যৌন হয়রানি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এমনকি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কিংবা অন্য গ্যাংয়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করে খুনখারাবি থেকেও পিছপা হচ্ছে না কিশোর অপরাধীরা। উদ্বেগের বিষয় হলো, মাদক নেশার টাকা জোগাড় করতে ছোটখাটো অপরাধে জড়ানো কিশোর অপরাধীরা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠছে ভয়ংকর অপরাধী, এলাকার ত্রাস। আরও উদ্বেগের বিষয়, ভাড়াটে হিসাবে তারা মানুষ হত্যা কিংবা নির্যাতনের মতো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুরের নূরবাগের কুসুম বাগ এলাকায় গত ১২ ই নভেম্বর আনুমানিক রাত ৮ ঘটিকায় ফতুল্লা থানা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রাব্বানীর ছেলে কাউছারে (১৬) নিকট কোন কারণ ছাড়াই ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে একেই এলাকার বাসিন্দা সোহরাবের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার সোহান।
টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সোহান ক্ষিপ্ত হয়ে অজ্ঞাতনামা আরো দু তিনজনকে সাথে নিয়ে কাউছারের উপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র ছোরা দিয়ে উপর্যপুরী আঘাত করে পিঠে, ঘাড়ে,ও হাতে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত যখন করে। এবং পিঠের আঘাতে ১২টি সেলাই হাতে ৬টি সেলাই লাগে। এবং কাওসারের সাথে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা একটি স্মার্ট ফোন ও ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার মূল্য প্রায় ৯২ হাজার টাকা এমনটিই জানিয়েছেন কাউছারের বাবা রাব্বানী।
এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করেন তিনি। কিশোর গ্যাং কালচারের পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ও পেশাদারদের পৃষ্ঠপোষকতাকেও দায়ী করছেন সমাজ বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, অবস্থা এখন এমন জায়গায় চলে গেছে যে, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন জরুরি হয়ে পড়েছে।
তারা আরও বলছেন, আগামী প্রজন্মকে অপরাধমুক্ত রাখতে হলে কিশোর গ্যাংয়ের লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। তা না হলে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। বস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সমাজ ও পরিবারের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কিশোর গ্যাং কালচার থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রেজাউল হক দিপু বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।