জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত অর্জনগুলোকে আরও এগিয়ে নেওয়া এবং বিশ্ব বাজারে পোশাক সোর্সিংয়ের পছন্দসই কেন্দ্র হিসেবে অর্জিত অবস্থান ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, বিগত দশকে শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, যেখানে উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। শিল্প খাতে এখন কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টিকে ব্যবসার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) কর্তৃক নতুন করে আরএসসিতে তালিকাভুক্ত হওয়া ১৯টি স্বাধীন কারখানাকে স্বাগত জানানোর জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মিরান আলী, বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, আরএসসির পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা, আরএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হক, আরএসসির চিফ সেফটি অফিসার জর্জ বি ফলার, আইবিসির সভাপতি আমিরুল হক আমিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক লীগের সভাপতি জেড.এম. কামরুল আনাম, ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের সাধারণ সম্পাদক চায়না রহমান এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে ব্র্যান্ডের মনোনয়ন ছাড়াই নতুন পোশাক কারখানা তালিকাভুক্ত করার জন্য আরএসসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি আরও স্বাধীন কারখানাগুলোর জন্য আরএসসিতে তালিকাভুক্ত হওয়ার পথ প্রশস্ত করবে।
তিনি বলেন, আগে কেবল ব্র্যান্ডের মনোনয়ন থাকলে কারখানাগুলোকে আরএসসিতে তালিকাভুক্ত করা যেত। কিন্তু এখন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সদস্য যে কোনো রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাও বিজিএমইএর মনোনয়ন নিয়ে আরএসসির অধীনে তালিকাভুক্ত হতে পারে। আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার গতি অব্যাহত রাখার জন্য একটি অভূতপূর্ব বেসরকারি জাতীয় ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ।