পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী করাচির বিভিন্ন স্থানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।এখানকার তাপমাত্রা বেড়ে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার সমাজ কল্যাণ সংস্থা এদহি’র বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, পুরো সপ্তাহ জুড়ে তীব্র দাবদাহ থাকবে। দিনে তাপমাত্র ৪০-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করতে পারে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, রমজান মাসের সার্বিক অবস্থা ও রোজাদারদের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ করতে হবে।
করাচিতে একদিকে তীব্র দাবদাহ, অন্যদিকে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। তাই রমজান মাসে সারা দিন না খেয়ে থাকা লোকজনকে বেশ কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। সোমবার করাচির তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদহি ফাউন্ডেশনের প্রধান ফয়সাল এদহি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত তিন দিনে ১১৪টি লাশ নগরীর কোরাঙ্গি ও সোহরাব গোত এলাকায় অবস্থিত তাদের ফাউন্ডেমশনের মর্গে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৬৫ জন হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। সংস্থাটি দেশব্যাপী মর্গ ও লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনা করে।
এদহি জানান, হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া অধিকাংশই তাদের বাড়িতে আক্রান্ত হয়ে যথাসময়ে কোন ধরনের চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী ৬ বছর এবং সবচেয়ে বেশি ৭৮ বছর।
করাচিতে এক কোটি ৫০ লাখ মানুষের বসবাস। হিটস্ট্রোক এড়াতে নগরবাসীকে দিনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন করাচির মেয়র ওয়াসিম আখতার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ এই দাবি অস্বীকার করেছে। ২০১৫ সালেও দেশটিতে দাবদাহে অন্তত ১ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।