আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ই রবিবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া যেন রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার ২টি পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। যার ২টি পরীক্ষার প্রশ্নই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইমো ব্যবহার করে ফাঁস করা হয়েছে। সবচাইতে অবাক কান্ড হলো প্রশ্ন ফাঁসকারি তার মুঠোফোন নাম্বার ও বিকাশ নাম্বার প্রকাশ করেছে এবং ঐ নাম্বারে ফোন করে গণমাধ্যমকর্মী সহ অভিভাবকগণ কথা বলেছেন। তাহলে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষামন্ত্রী সহযোগিতা চাওয়ার পরও বিটিআরসি কেন তৎপর হলো না? বর্তমানে সরকার একজন প্রযুক্তিবিদকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদান করার পরও কেন প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা গেল না? বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যদি সঠিকভাবে সিম নিবন্ধন করা হয়ে থাকে তাহলে কেন মুঠোফোন নাম্বার ও বিকাশ নাম্বার প্রকাশ করার পরও ঐ প্রশ্ন ফাঁসকারীকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হলো না? এ ধরনের অনেক প্রশ্নই জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা মনে করি দুটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা ও অদক্ষতাই প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে না পারার অন্যতম কারণ। এভাবে চলতে থাকলে জাতি ভবিষ্যতে মেধাশূণ্য হতে বাধ্য। আর এ দায় কিছুতেই বিটিআরসি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এড়িয়ে যেতে পারে না।