বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্ত ব্যাক্তি দলীয় প্রধান হতে পারেন কিনা তা আমার জানা নাই। এই বিচার বাংলাদেশের জনগন করবে। আমরা একটি ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। ১০ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় স্বাধীনতা জাদুঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলে।
বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোলায় ২২৫ মেগাওয়াট একটি পাওয়ার প্লান্ট রয়েছে। ভারতীয় একটি কোম্পানী আরো ২২৫ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ থেকে ১০০ মেগাওয়াট ও ৪০০ মেগাওয়াটের আরো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এতে করে ভোলাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের আর কোন সমস্যাই থাকবেনা।
বানিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ভোলায় ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুসারে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন গ্যাস পাওয়া গেছে। আরো ৩টি কূপ খনন হলে ২ট্রিলিয়ন গ্যাস পাওয়া যাবে। ফলে গ্যাসভিত্তিক শিল্প ও কল কারখানা গড়ে উঠলে ভোলা হবে দেশের মধ্যে উন্নত একটি জেলা।
ভোলা একটি শিল্পনগরী হবে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, এখানকার উৎপাদিত পন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের ঘোষনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্রীজটি হলে পদ্মা সেতু দিয়ে মাত্র ৫ ঘন্টায় ভোলা-ঢাকা যাওয়া যাবে।
মন্ত্রী বলেন, সব মিলিয়ে ভোলার একটি উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভোলাকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখানকার গ্রামীন অর্থনীতি চমৎকার। এখানে শিল্পায়নের জন্য অনেক বড় বড় উদ্যেক্তারা জমি কিনতে চেষ্টা করছেন।
এসময় তার সাথে সাবেক বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান সচিব এম মোকাম্মেল হক, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জেলা প্রশাসক মোহাং সেলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো: মোকতার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি হামিদুল হক বাহালুল, পৌর মেয়র মো: মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।