এবারের ঈদযাত্রায় মানুষের স্বস্তিতে বাড়ি ফেরা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন এর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, স্বস্তি নয় ঈদযাত্রার শুরুতেই মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শনিবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
এর আগে শুক্রবার সড়ক পরিবহনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এবার সড়কে কোনো যানজট নেই। মানুষ স্বস্তিতে বাড়িতে যেতে পারবে। রাস্তায় দুর্ভোগ না হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্তমানে সড়কের অবস্থা সবচেয়ে ভালো।
রিজভী বলেন, ‘ঈদযাত্রার শুরুতেই মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তার এই বক্তব্য জনগণের সঙ্গে চরম রসিকতা। সড়ক ব্যবস্থা এতটাই ভালো যে শুধু ঢাকার অদূরে গাজীপুর যেতে সময় লাগে কমপক্ষে ৪-৫ ঘণ্টা। উত্তরাঞ্চলের অবস্থা আরও নাজুক। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, ঢাকা-কুষ্টিয়াসহ দেশের সব সড়ক মহাসড়কের বেহাল অবস্থা।’
‘মানুষের প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরে জনগণের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু মানুষের দুর্ভোগ নিয়েও পরিহাস করার চিরচেনা স্বভাব তিনি ছাড়তে পারেননি।’
সড়কের বেহাল দশায় ঈদে ঘরমুখি মানুষ ট্রেনেও স্বস্তি পাচ্ছে না অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘সড়কের বেহাল দশার কারণে ঈদে ঘরমুখী মানুষ ট্রেনের দিকে ঝুঁকছে। শুক্রবার শুরুর দিনে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সকালের ট্রেন বিকালেও পাওয়া যায়নি। রেলমন্ত্রী এজন্য জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশও করেছেন। লঞ্চও ছাড়ছে দেরি করে। লঞ্চ ও বাস যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। ঈদযাত্রার শুরুতেই চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।’
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘রমজানে চরম অসুস্থ অবস্থায় প্রিজন সেলে দিনাতিপাত করছেন তিনি (খালেদা)। সম্পূর্ণরূপে জুলুম করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করা হলেও দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল ঈদের আগেই তাকে মুক্তি দেবে সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে যা বলেছেন সেই প্রতিহিংসাই তিনি বাস্তবায়ন করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাহিদা রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আওয়াল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।