ইউরোপীয় কোম্পানি ও আদালতগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা থেকে বিরত রাখতে নতুন এক আইন কার্যকর করতে চলেছে ইউরোপীয় কমিশন। এজন্য শুক্রবার থেকে ‘ব্লকিং স্ট্যাচুট’ নামে নতুন একটি আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। কমিশনের প্রেসিডেন্ট জন ক্লড জাংকার বৃহস্পতিবার জানান, আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা থেকে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে এই কমিশনের। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
জাংকারকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এজন্যই আমরা ১৯৯৬ সালের ‘ব্লকিং স্ট্যাচুট’ কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাংকার।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে এই মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হয় এবং কিছু নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ১৩ মে ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করা ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করতে চাইলেও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন চুক্তিটি অক্ষুণ্ণ রাখতে চায়। এজন্য তাদের কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হচ্ছে ব্লকিং স্ট্যাচুট। এই আইন কার্যকর হলে ইইউ কোম্পানিগুলোকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে না। এমনকি কোন আদালতও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য কোন রায় দিতে পারবে না।
১৯৯৬ সালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে কিউবার সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য ব্লকিং স্ট্যাচুট তৈরি করা হয়। তবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এটা আগের মতো কার্যকরী নাও হতে পারে। কেননা পরবর্তীতে মার্কিন কংগ্রেস এই ইউরোপীয় আইনের প্রভাব সামলাতে নতুন একটি আইন পাস করেছে। ওই আইন অনুসারে, ইইউ’র স্ট্যাচুট পুরনো হয়ে গেছে।