অনলাইন ডেস্ক : বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আস্তিক আর নাস্তিকের লড়াই চলছে মন্তব্য করে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোনো লড়াই নাই। দেশের মানুষ সবাই ভাই ভাই। আ.লীগ-বিএনপি ঈদে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজে অংশ নেয়। দুই দলের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক ওয়াজ মাহফিলে এমন বক্তব্য দেন বাবুনগরী। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আল আমিন সংস্থা এ মাহফিলের আয়োজন করে। বাবুনগরী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। রাজনৈতিক কোনো পতাকা এখানে উড়ানো যাবে না।’
এদিকে, মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দেখা যায়নি মামুনুল হককে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনে বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে মামুনুল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। হাটহাজারীর এ মাহফিলে মামুনুল হককে প্রধান বক্তা করায় তাকে প্রতিরোধ করার ঘোষণা দেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
বাবু নগরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমিও একমত দেশ চলবে মদিনার সনদে। নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ মদিনার সনদে চলবে। রাশিয়া, আমেরিকা, ভারত, চীনের সনদে চলতে পারবে না। মদিনার সনদ শান্তির সনদ। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশকে শান্তির দুর্গে পরিণত করার জন্য মদিনার সনদের বিকল্প নেই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আপনার আব্বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, আমরা উনাকে শ্রদ্ধা করি। এই বঙ্গবন্ধুকে কারা মেরেছে? কোনো মাদ্রাসার ছাত্র? কোনো আলেম ওলামা? না না। এই বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছে বঙ্গবন্ধুর মানুষ। আপনাকে সতর্ক করছি। আপনার ঘাড়ে যে নাস্তিকরা বসে আছে তারাই আপনার ক্ষতি করবে, তারাই আপনাকে মেরে ফেলবে।’
এদিকে, মামুনুলকে রুখতে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটা থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে সড়কের ওপর অবস্থান নেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বিমানবন্দর ছাড়াও নগরীর দেওয়ান হাট, দুই নাম্বার গেইট, অক্সিজেন মোড়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।