তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়ায় পুলিশ ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে শিল্প পুলিশ-১ এর ইন্টেলিজেন্স এএসআই মাহমুদ হাসান (৩২), ওষুধ ব্যবসায়ী আল আমিন মৃধা (২৮) ও সেলসম্যান খাদেমুল ইসলাম (২২) রক্তাক্ত আহত হয়েছেন।
বুধবার আশুলিয়ার জামগড়া চৌরাস্তা এলাকার মৃধা ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে আল আমিনের পিতা আমান উল্লাহ বলেন, দুপুরে সিভিল পোশাকে এএসআই মাহমুদ অ্যাবসল নামে একটি ক্রিম নিয়ে জামগড়া তার ছেলে আল আমিনের মৃধা ফার্মেসিতে যান। সেখানে ফার্মেসির সেলসম্যান খাদেমুলের কাছে ক্রিমটি দিয়ে জানতে চান এটি কি কাজ করে।
খাদেমুল জানায়, ডাক্তার ছাড়া এর কার্যকারিতা সম্পর্কে সে কিছুই বলতে পারবে না। এতে এএসআই ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং খাদেমুলকে ঘুষি মারেন। এ সময় আল আমিন এগিয়ে আসলে তাকেও কিল ঘুষি মারেন।
এতে আল আমিন তার দোকানে থাকা লোহার রড দিয়ে ওই এএসআইকে পেটায়। পরে মাহমুদুল গিয়ে এ ঘটনা শিল্প পুলিশকে জানালে শিল্প পুলিশের সদস্যরা ফার্মেসিতে গিয়ে খাদেমুল ও আল আমিনকে মারধর করে এবং আটক করে শিল্প পুলিশের শ্রীপুর হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যায়।
প্রতিবেশী ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশের এএসআই মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে ২-৩ গাড়ি পুলিশ এসে দোকানে হামলা চালায় এবং আল আমিন ও খাদেমুলকে ব্যাপক মারধর করে।
তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখান থেকে তাদের আটক করে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার শিল্প পুলিশ-১ এর হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মোবাইলে জানতে শিল্প পুলিশ-১ এর এসপি সানা সামিনুর রহমানকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। তবে আহত এএসআই মাহমুদ বলেন, তিনি ভালো আছেন। তবে তিনি এসপি স্যারের সামনে রয়েছেন। পরে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
এছাড়া এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শ্রীপুর হেডকোয়ার্টারে গেলে সাংবাদিক পরিচয়ে কাউকে তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়নি শিল্প পুলিশের দায়িত্বরতরা। তারা জানান এসপি স্যারের অনুমতি নেই।