ইসলামিক ডেস্কঃ কাতারের আলনূর কালচারাল সেন্টারের উদ্যোগে গত ১২ অক্টোবর দোহার বিন জায়েদ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এক ইসলাহি মজলিস। মুফতি আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে ও মাওলানা কারি ইব্রাহিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ আধ্যাত্মিক আলোচনায় বক্তারা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ার উপায় বিষয়ে আলোকপাত করেন।
মুফতি আহসান উল্লাহ বলেন, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম ভিত্তি হচ্ছে ঈমান। ঈমানের ৭৭টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বের শীর্ষে রয়েছে ফরজ নামাজ। ফরজ নামাজগুলোর ব্যাপারে সর্বোচ্চ যত্নবান থাকলে আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক অটুট থাকে। ঈমানের আরেকটি শাখা হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ। এর মাধ্যমে বান্দার সাথে আল্লাহর নিবিড় বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। সব নবী ও বুজুর্গদের প্রিয় আমল ছিল তাহাজ্জুদ নামাজ।
তিনি আরও বলেন, ঈমানের সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেয়া। মানুষের কষ্ট লাঘব করলে এবং কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকলে ঈমান ও আমলের উন্নতি হয়।
মাওলানা গোলাম রাব্বানী বলেন, আলেমরা নবীদের উত্তরাধিকারী ও অহির আমানত বহনকারী জাতির দরদি অভিভাবক। আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হক্কানি উলামা-মাশায়েখের সান্নিধ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। নতুবা বিভ্রান্ত হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।
মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, আল্লাহর সাথে নিবিড় সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য তাঁর পছন্দের কাজগুলো করা জরুরি। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সহিহ হাদিসে বর্ণিত আল্লাহর একান্ত পছন্দের কাজের তালিকায় রয়েছে, আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখা, আমানত রক্ষা করা, সত্যকথা বলা, ভালো প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করা, সৎকাজের আদেশ দেয়া ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করা, মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর করা। আল্লাহর কাছে দুটি ফোটা খুবই প্রিয়: আল্লাহর ভয়ে নির্গত অশ্রু ও জিহাদের ময়দানের রক্ত।
নামাজের কাতার ঠিক করার জন্য এগিয়ে যাওয়াকে আল্লাহ খুবই ভালোবাসেন। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তি আল্লাহর একান্ত ভালোবাসার মানুষ। সুন্দর চরিত্রের অধিকারী আল্লাহর প্রিয় বান্দা। লজ্জাশীলতা আল্লাহ পছন্দ করেন। অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পাদন ও নিয়ামতের ভারসাম্যপূর্ণ প্রদর্শন আল্লাহ ভালবাসেন। পরিমাণে কম হলেও নিয়মিত আমলগুলো আল্লাহর পছন্দ। মানুষের মাঝে বিবাদ দূর করার প্রচেষ্টা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের একান্ত প্রিয়।
তিনি আরও বলেন, ঈমান ও আমলের বিশ্বনন্দিত জামায়াত তাবলিগের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদ নিরসনে এগিয়ে আসা ঈমানের দাবি। কোনো পক্ষাবলম্বন না করে সবাইকে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে উজ্জীবিত করা সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করি।