আর মাত্র কয়েক দিন পরই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। একজন মুমিনের জন্য রমজানের আগের প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। রমজানের আগেই যে সব প্রস্তুতি নিতে হয় এর মধ্যে একটি হলো আত্মাকে নিষ্কলুষ করা। রমজানে আত্মিক উৎকর্ষের ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য আত্মাকে ধুয়ে-মুছে পাক-সাফ করতে হবে। পাপাচারের কারণে অন্তরে যে কালিমা লেপন হয়েছে, তা দূর করতে হবে। কুপ্রবৃত্তির লাগাম টেনে ধরতে হবে।
সামনের দিনগুলোতে উৎপাত যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। সব ধরনের পাপকাজ থেকে বেঁচে থাকার দৃঢ় মানসিকতা এখন থেকেই তৈরি না করলে রমজান এসে গেলে তা আর সম্ভব হবে না। পাপাচার ত্যাগ করার মনোবৃত্তিই পাপকার্য থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বড় সহায়ক। গোনাহও করবে, আবার রোজাও রাখবে- তা হতে পারে না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন. ‘যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা, অগোচরে নিন্দা তথা পাপকার্য থেকে বিরত রইল না, তার রোজা অর্থহীন উপবাস ছাড়া আর কিছুই নয়।’ রমজানের চাঁদ উদয় হলেই একদল ফেরেশতা ঘোষণায় লেগে যান।
তারা বলেন, ‘হে কল্যাণের পথিক অগ্রসর হও। আর হে অমঙ্গলের হোতা, তুমি তোমার কুকর্মের রাশ টেনে ধর।’ রমজানের এই আহ্বানে সাড়া দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই। রমজানে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি রাখতে হবে হালাল রিজিকের প্রতি। আর এর জন্য প্রয়োজন হালাল উপার্জন। অন্তত একটি মাসে হালাল রিজিকের প্রতি যত্নবান হই। যে লোকমাটাই মুখে যাবে, তা হালাল হওয়া চাই। এমন যেন না হয় যে, রোজা তো রেখেছি আল্লাহর জন্য, কিন্তু ইফতার করছি হারাম বস্তু দ্বারা।
অনেক লোক আছেন যাদের আয়ের উৎস মূলত হারাম নয়, কিন্তু যত্নবান না হওয়ার কারণে হারামের সংমিশ্রণ হয়ে যায়। তাদের এর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। আবার অনেক লোক আছেন, যাদের আয়ের উৎস পুরোটাই হারাম। তাদের জন্য হারাম থেকে বেঁচে থাকাটা খুবই কঠিন। তবে সম্ভব হলে তারা এক মাসের জন্য ছুটি নিয়ে নেবেন এবং অন্য কোনো হালাল পেশা গ্রহণ করবেন। তা না হলে অন্তত কারো কাছ থেকে ঋণ নিয়ে হলেও রমজান মাসে হালাল রিজিকের ব্যবস্থা করা উচিত।