ভেনেজুয়েলার একটি বিমান গত সপ্তাহে আটকে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। বিমানটির ক্রুদের যে হোটেলে রাখা হয়েছে সেখানেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরইমধ্যে ভেনেজুয়েলার আদালত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, কার্গো প্লেনটির ভেনেজুয়েলার ক্রুরা আর্জেন্টিনা ছাড়তে পারবেন না। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
আটককৃত বিমানটি গত বছর ইরানের মাহান এয়ার থেকে কিনেছিল ভেনেজুয়েলার একটি সংস্থা। ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপ্রধানের ইরান সফরের আগেই আর্জেন্টিনায় ভেনেজুয়েলার বিমানটি আটক করা হয়।
বিমানে ইরানের বিপ্লবী সংস্থার (যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত) সদস্য আছেন এই সন্দেহে আটক করা হলেও তার সত্যতা নিশ্চিতভাবে এখনো প্রমাণিত হয়নি। তাছাড়া বিমানে যারা ছিলেন তাদের কারও নামও ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড লিস্টে ছিল না। ইরানও এ বিষয়ে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, পরমাণু চুক্তি নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতেই বিমান আটক নিয়ে এত নাটকীয়তা।
বর্তমানে বুয়েন্স এইরেসে রাখা হয়েছে ভেনেজুয়েলার বোয়িং ৭৪৭ কার্গো বিমানটি। বিমানে ১৪ ভেনেজুয়েলার ক্রু ও ৫ ইরানি ক্রু ছিলেন বলে জানা গেছে। ইরানিদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ক্রুদের সেলফোন, কম্পিউটার ও কাগজপত্র রেখে দেওয়া হয়েছে।
বিমানটি মেক্সিকো থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ নিয়ে আর্জেন্টিনার কর্ডোবা শহরে এসেছিল গত সোমবার। এরপর সেটি উরুগুয়েতে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আর্জেন্টিনার ইজিইজা শহরে ফিরে আসার পর বিমানটিকে আটক করা হয়। বিমানটির মালিকানা ভেনেজুয়েলার কনভিয়াসার অধীন ইমত্রাসুরের। এই প্রতিষ্ঠানের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আছে।