আজ শুক্রবার থেকেই সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সভায় মন্ত্রী এমন কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, যদিও এসএসসি পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল কিন্তু বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাত দিন আগে থেকেই সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে প্রথমবারের মতো অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কোথাও প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলে সকল পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের নিজ আসনে বসতে হবে। এরপর আর কোনোভাবেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন বলেন, পরীক্ষা শেষের পরেও যদি প্রমাণিত হয় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে তবে সে পরীক্ষা বাতিল করা হবে। অভিন্ন প্রশ্নপত্র দিয়ে সারাদেশে পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা একটি বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সকল স্থানে মানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করে সুষ্ঠুভাবে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করাটাই এখন বড় লক্ষ্যমাত্রা। তিনি বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। কোনো ধরনের আপস করতে রাজি নই। কেউ যদি দায়িত্বে অবহেলা বা কোনো ধরনের অনিয়ম করেন তাকেই অপরাধী বলে গণ্য করা হবে।
সভায় উপস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার নাজমুল আলম বলেন, পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ট্রেজারি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেক বড় গাফিলতি হয়। সেখান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন পাওয়া গেছে। আমরা তা নিয়ে কাজ করছি।
এ ছাড়াও প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় অনেক কেন্দ্র সচিব উপস্থিত না হয়ে তাদের প্রতিনিধিদের পাঠান। এটি বন্ধ করে কেন্দ্র সচিবের উপস্থিতি নিশ্চিত, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নিয়োজিত রাখা, ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়ে অধিক প্রচারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতর, সংস্থা ও বিভাগের কর্মকর্তারা।